জীবন-ধারণের আদর্শ গ্রহণ করিয়াছিলেন। তাই সান্ধ্য-ভোজে বাড়ীতেই বন্ধু-বান্ধবদের সহিত বিলাতী রীতি অনুযায়ী তিনি সুরা গ্রহণ করিতেন। ক্লারেট নামে এক রকম মিষ্ট সুরা আছে। তাহার রঙ রক্তের মত গাঢ় লাল।
একদিন বালক জওহরলাল লুকাইয়া বড়দের আসরের কথাবার্তা শুনিতেছেন, এমন সময় হঠাৎ তাঁহার নজর পড়িল যে, তাঁহার পিতার গ্লাসে রক্তের মত লাল কি রহিয়াছে। গ্লাসে এত রক্ত কোথা হইতে আসিল? বালক ভাবিয়াই আকুল। এমন সময় বালক জওহরলাল দেখিলেন যে, তাঁহার পিতা সেই রক্তের গ্লাস মুখে তুলিয়া হাসিতে হাসিতে খাইয়া ফেলিলেন। ভয়ে, বিস্ময়ে বালক আর দাঁড়াইয়া থাকিতে পারিলেন না। তাড়াতাড়ি ছুটিয়া একেবারে অন্দরমহলে জননীর কাছে গিয়া বালক ভীত-উৎকণ্ঠিত-কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, মা, মা, বাবা রক্ত খাচ্ছেন?
জওহরলালের তখন সাত-আট বৎসর বয়স হইবে। ব্যায়ামের জন্য পণ্ডিত মতিলাল পুত্রের ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। একজন অবসর প্রাপ্ত সৈনিককে সেইজন্য মাহিনা দিয়া রাখিয়াছিলেন। তাহার কাজ ছিল, প্রত্যহ সকালে এবং বিকালে বালক জওহরলালকে ঘোড়ায় চড়াইয়া