পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
জওহরলাল

বেড়াইয়া আনা। বালক ঘোড়ায় চড়িয়া যাইতেন আর সেই সৈনিকটী তাহার পাশে পাশে যাইত। এই ব্যবস্থা বালকের আদৌ পছন্দ ছিল না। তিনি নিজের ইচ্ছামত ঘোড়া চালাইবেন, ঘোড়া টগ্‌বগ্‌ করিয়া ছুটিবে—তবে তো আনন্দ! কিন্তু সে আনন্দ উপভোগ করিবার কোন উপায়ই ছিল না। সৈনিকটী শত মিনতি সত্ত্বেও এক মুহূর্ত্তের জন্য পাশছাড়া হইত না।

 একদিন বিকেলবেলায় পণ্ডিত মতিলাল বাড়ীর সংলগ্ন টেনিস-কোর্টে বন্ধু-বান্ধবদের লইয়া খেলায় মত্ত। সেই অবসরে আস্তাবলে গিয়া বালক দেখিল, পিতার আরব-ঘোড়াটী লাগামশুদ্ধ সুসজ্জিত রহিয়াছে এবং নিকটে কেউ কোথাও নাই ।

 এদিক ওদিক চাহিয়া বালক যখন বুঝিলেন যে, তাঁহাকে কেহই লক্ষ্য করিতেছে না, তখন তিনি আস্তে আস্তে আস্তাবল হইতে ঘোড়াটীকে বাহির করিলেন এবং তাহার পিঠে চড়িয়া বাড়ী হইর্তে বাহির হইয়া পড়িলেন। কেহই তাঁহাকে লক্ষ্য করিল না। রাস্তায় আসিয়া বালক মনের সাধে ঘোড়া ছুটাইলেন। কিন্তু বেয়াদপ ঘোড়াটী কিছুদূর ছুটিয়াই বালক আরোহীকে পিঠ হইতে ফেলিয়া দিল।

 এধারে বাড়ীতে হঠাৎ সকলের নজরে পড়িল যে, জওহরলাল বাড়ীতে নাই এবং সেই সঙ্গে আস্তাবলে