ঘোড়াটাও নাই। তখন চারিদিকে খোঁজ খোঁজ পড়িয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল, সর্ব্বাঙ্গে ধূলা মাখিয়া বালক ফটক দিয়া প্রবেশ করিতেছেন, তাঁহার ভঙ্গী দেখিয়া অবশ্য কেহই অনুমান করিতে পারিত না যে, কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে, বরঞ্চ বালকের ভঙ্গী দেখিয়া মনে হইল যে, তিনি এইমাত্র ওয়াটার্লুর যুদ্ধ জয় করিয়া যেন ফিরিতেছেন!
তিন
জওহরলালের যখন এগারো বৎসর বয়স, সেই সময় পণ্ডিত মতিলাল তাহার শিক্ষার জন্য ফার্ডিনান্স টি-ব্রুক্স নামে একজন পণ্ডিত আইরিশম্যানকে গৃহশিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করেন।
সেই সময় ভারতবর্ষে অ্যানি-বেশান্ত এক নূতন ধর্ম্ম-আন্দোলন শুরু করিয়াছিলেন। সেই ধর্ম্মপ্রচারের জন্য যে সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহার নাম থিওসফিক সোসাইটী। ব্রুক্স এই সোসাটির একজন প্রধান পাত্তা ছিলেন এবং অ্যানি-বেশান্তই তাঁহাকে পণ্ডিত মতিলালের কাছে সুপারিশ করিয়া দেন।
এই আইরিশম্যান বালকের জীবনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেন এবং তাঁহারই শিক্ষা