এবং সাহচর্য্যে সেই অল্প বয়সেই জওহরলাল ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যে বেশ সহজ ভাবে বিচরণ করিতে শিখিয়াছিলেন। সাহিত্য ছাড়া আরও দুইটী জিনিষে ব্রুক্স বালকের জীবনে কৌতূহল জাগাইয়া দেন, একটী হইল বিজ্ঞান, আর একটী হইল ধর্ম্ম।
বিজ্ঞানের প্রতি বালকের আগ্রহ দেখিয়া পণ্ডিত মতিলাল বাড়ীতেই বালকের ব্যবহারের জন্য একটা ছোট্ট ল্যাবরেটারী গড়িয়া দেন। সেই ল্যাবরেটরীতে গুরু ও শিষ্য মিলিয়া বিজ্ঞানের প্রথম পাঠ অনুশীলন করেন। বিজ্ঞানের সেই সব প্রাথমিক পরীক্ষার মধ্যে বালক এক অপূর্ব্ব উদ্দীপনা অনুভব করেন এবং সেদিন বিজ্ঞানের প্রতি যে প্রীতি এইভাবে জন্মগ্রহণ করে, তাহা তাঁহার ভবিষ্যৎ শিক্ষাকে দৃঢ়তর করিয়া তুলিতে সাহায্য করে।
ব্রুক্স তাঁহার নিজের বাড়ীতে তাঁহার দলের লোকদের লইয়া ধর্মসভা বসাইতেন। সেখানে হিন্দুধর্ম্মের সমস্ত বিষয় লইয়া বক্তৃতা ও আলোচনা হইত। ব্রুক্স যেদিন তাঁহার বালক-শিষ্যকে অবাধে সেই সভায় যোগদান করিবার অনুমতি দিলেন, সেদিন এক গোপন গর্ব্বে বালকের মন ভরিয়া উঠিল। বালকের মনে হইল, যে বৃহত্তর জীবন হইতে সাধারণত বড়রা ছোট ছেলেদের সরাইয়া রাখেন এবং যেখানে