পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
১৩

পৌঁছাইতে বালকদের বুড়া হইয়া যাইতে হয়, আজ গুরুর কৃপায় সহসা বালক বয়সেই সেই জীবনের সামনাসামনি দাঁড়াইতে পাইয়া বালক নিজেকে ধন্য মনে করিল।

 সভার অন্য সব শ্রোতার মতন বালকও গম্ভীর ভাবে বক্তৃতার বিষয় বুঝিতে পারিতেন না সত্য, কিন্তু তবুও সেই সব আলোচনা শুনিতে শুনিতে বালকের মনে বহু গুরু-গম্ভীর শব্দ আপন হইতে জানা হইয়া যাইত। আপনার মনে, আপনার মতন করিয়া বালক সেই সব রহস্যময় কাজগুলি লইয়া নাড়া-চাড়া করিতে এবং নিজেকে প্রায় বড়দের সমকক্ষ মনে করিতে তাঁহার দ্বিধাবোধ হইত না।

 সেইজন্য বালকের যখন তেরো বৎসর বয়স হইল, সেই সময় একদিন বালক স্থির করিলেন, এমনি ভাবে অযাচিত হইয়। সভায় যোগদান করা ঠিক তাহার মর্য্যাদার অনুকূল হইতেছে না, সকলেই সেখানে যথারীতি সভ্য, তিনিই বা যথারীতি সভ্য হইবেন না কেন?

 এই স্থির করিয়া বালক একদিন পিতার নিকট প্রস্তাব করিলেন যে, থিওসফিক সোসাইটীর তিনি যথারীতি সভ্য হইবেন!

 তেরো বৎসরের ছেলের মুখে সেই কথা শুনিয়া পণ্ডিত মতিলাল অট্টহাস্য করিয়া উঠিলেন!