তাঁহার হাসি স্বভাবতই খুব জোরালো ছিল। সেই হাসিতে বালকের মনের গোপন গর্ব্ব ক্ষুণ্ন হইল। বালক রীতিমত আহত ও অপমানিত বোধ করিলেন।
সমস্ত ব্যাপারেই বালক পিতাকে অসাধারণ বলিয়া শ্রদ্ধা করিতেন এবং তাঁহাকে একজন শ্রেষ্ঠ লোক বলিয়া জানিতেন, কিন্তু এই ব্যাপারে বালক যেন বুঝিতে পারিলেন, পিতার সম্বন্ধে তাঁহার অনুমান হয়ত ঠিক হয় নাই—নতুবা এই ব্যাপারকে তুচ্ছ বলিয়া তিনি হাসিয়া উড়াইয়া দিতে চাহিবেন কেন? তিনি আর যাহাই বুঝুন না কেন, তাঁহার সেই প্রতিভাশালী পুত্রের মনের গভীরতা মাপিবার মত শক্তি তাঁহার নাই? বালক এমনি ক্ষিপ্ত ও অসন্তুষ্ট হইয়া উঠিলেন!
কিন্তু সহজে পরাজয় স্বীকার করা বালকের ধাতে ছিল না। দিনের পর দিন সেই সভায় বসিয়া বালক যে সব দুরূহ শব্দ মনের পাতায় সংগ্রহ করিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহাই পিতার সামনে তুলিয়া ধরিলেন—হইলই বা তাঁহার তেরো বৎসর বয়স! তাঁহার পিতার জানা উচিত যে, আর অন্য সকলের মতনই তিনিও “যিওসফী” বোঝেন! সে কথা পণ্ডিত মতিলালকেও স্বীকার করিতে হইল এবং তাহার ফলে পিতার অনুমতি লইয়া যথারীতি তিনি