নিজের আত্মীয়জন থেকে দূরে এই বিদেশী ছেলেদের মধ্যে হ্যারোর ছাত্রজীবন জওহরলালের খুব ভাল লাগিল না। এই সম্পর্কে তাঁহার আত্মজীবনে তিনি লিখিয়াছেন—“এর আগে বিদেশী লোকদের মধ্যে এমনি সম্পূর্ণ একলা আমি বাস করি নি। তাই প্রথম প্রথম বাড়ীর জন্যে মন কেমন করতো। কিন্তু কিছুদিন যাবার পর আমি একরকম সেখানকার জীবনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিলাম। পড়াশোনা, খেলাধূলায় অন্য সব ছেলের মতই সমান ভাবে মিশতে লাগলাম কিন্তু কোন দিনই আমার মনে হয়নি যে, এদের মধ্যে আমার জীবনকে ঠিক খাপ খাইয়ে নিতে পারবো।”,
সেই অল্প বয়সেই ইংলণ্ডে গিয়া একটি জিনিস কিশোর জওহরলালকে আকর্ষণ করিল, তাহা হইল রাজনীতি। ভারতবর্ষে বাস করিবার সময় শিক্ষার গুণে, সেই বয়সেই তিনি সমবয়সী ইংরেজ সতীর্থদের চেয়ে সাধারণ জ্ঞানে খুব উন্নত ছিলেন। তাই তাঁহার ক্লাসের ছেলেরা যখন খেলা-ধূলার কথা ছাড়া আর কিছুই আলোচনা করিত না, তখন তাহার মন নানা বিষয়ের চিন্তায় ভরিয়া থাকিত। কিন্তু আলোচনা করিবার সঙ্গী মিলিত না । '
এই সময় ইংলণ্ডে পার্লামেণ্টের সাধারণ নির্বাচন আরম্ভ হয়। সেই নির্ব্বাচনে লিবারেল দল জয়লাভ