করে। একদিন ক্লাসে শিক্ষক ছেলেদের নির্ব্বাচন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলেন। জওহরলাল ছাড়া আর কোন ছেলেই কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারিল না। জওহরলাল কাহাকে কাহাকে লইয়া সেই লিবারেল মন্ত্রিমণ্ডল গঠিত হইয়াছে, তাহা পর্য্যন্ত বলিয়া দিলেন।
সেই সময় ভারতবর্ষে তিলক ও অরবিন্দের নেতৃত্বে এক নূতন জাতীয়তা-আন্দোলন মাথা তুলিয়া উঠিতেছিল। বিলাতী সংবাদপত্রে তাহার সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত না হইলেও, যেটুকু প্রকাশিত হইত, তাহার মধ্য হইতে কিশোর জওহরলাল মনে মনে বিরাট রাজনৈতিক আন্দোলনের মূর্ত্তি গড়িয়া লইতেন। ঘটনাক্রমে ক্লাসে সাধারণ উন্নতির জন্যে তিনি কতকগুলি বই প্রাইজরূপ পাইলেন। তাহার মধ্যে ছিল, গ্যারিবল্ডী-সংক্রান্ত কয়েকখানি বই। এই বইগুলি সেই সময় তাঁহার মনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।
গ্যারিবল্ডী বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ইতালীকে এক জাতিতে পরিণত করেন। গ্যারিবল্ডীর সেই কীর্ত্তি কিশোরের মনে এক স্বপ্ন জাগাইয়া তুলিল-গ্যারীবল্ডীর জীবনী পড়িতে পড়িতে তাহার মনে কখন মহাত্মা গ্যারিবল্ডীর যায়গায় নিজেকে দাঁড় করাইতেন—ইতালীর পরিবর্তে ভারতবর্ষে তিনি