মানসচক্ষে দেখিতেন, মুক্ত-তরবারি-হাতে তিনি সংগ্রামে চলিয়াছেন, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারতকে একজাতিতে পরিণত করিবার জন্য।
মনের এই সব ভাবনা মনেই রাখিতে হইত, কারণ, স্কুলের সেই ক্ষুদ্র সহপাঠীদের এমন কেহ ছিল না, যাহার সঙ্গে এই সব আলোচনা করা চলে। আর তাহা ছাড়া তাঁহার মনে হইত, স্কুলের ক্ষুদ্র আবেষ্টনের মধ্যে যেন তাঁহাকে কুলাইতেছে না, কলেজের বৃহত্তর জীবন তাঁহাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করিত।
তাই হ্যারো ছাড়িয়া যেদিন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজে প্রবেশ করিলেন, সেদিন যেন হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন। স্কুলের বাঁধাধরা ক্ষুদ্র আবেষ্টনের মধ্যে তাঁহার মন হাঁফাইয়া উঠিত, কলেজের অপেক্ষাকৃত স্বাধীন জীবনের মধ্যে জওহরলাল যেন নিজেকে খুঁজিয়া পাইলেন।
বিজ্ঞানের দিকে তাঁহার স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকায় কলেজে তিনি বিজ্ঞানবিভাগে প্রবেশ করিলেন এবং ন্যাচুর্যাল সায়েন্সে তিনি ট্রাইপস গ্রহণ করিলেন। বিষয়, কেমিষ্ট্রি, জিওলজি ও বোটানি।
ক্যামব্রিজে ভারতীয় ছাত্রদের এক ক্লাব ছিল। তাহার নাম মজলিস। এই মজলিসের অধিবেশনে ভারতীয় ছাত্রেরা প্রাণ খুলিয়া দেশের কথা আলোচনা করিত, বক্তৃতা দিত। অনেক সময় তাহারা এমন