মনে হইল যে, কংগ্রেসে যাহারা আসিয়াছেন, তাঁহাদের মনে রাজনীতির গন্ধ পর্য্যন্ত নাই, যেন তাঁহারা বড়দিনের ছুটিতে দল বাঁধিয়া সব পিকনিকে আসিয়াছেন—বিলাতী পোষাক-কেতা-দুরন্ত সুট—সভায় বই মুখস্থ করা নিরীহ সব বক্তৃতা — অবশেষে বহুবার প্রস্তাবিত একই প্রস্তাবের প্রায় একই রকম ভাষায় বাৎসরিক পুনরাবৃত্তি!
সাত বৎসর ধরিয়া ইংলণ্ডে যে জীবন তিনি দেখিয়া আসিয়াছেন, ভারতবর্ষে আসিয়া দেখিলেন যে, সে-জীবনের কণামাত্র এখানে দেখা যায় না। বালককালেই তিনি ইংলণ্ডে গিয়াছিলেন এবং সমস্ত কৈশোর সেখানেই অতিবাহিত হয়। যৌবনের মুখে অন্তর যে প্রভাব গ্রহণ করে, সেই প্রভাবেই জীবন অনুরঞ্জিত হইয়া থাকে। তাই ভারতবর্ষে আসিয়া জওহরলাল পারিপার্শ্বিক জীবনের প্রাণহীনতা এবং পঙ্গুতায় মর্মাহত হইয়া উঠিলেন!
তাহার আত্মজীবনীতে এই সম্পর্কে সেই ঘটনা হইতে একটা ঘটনার উল্লেখ তিনি করিয়াছেন। তাঁহার মনের অবস্থা স্পষ্ট বোঝা যায় ।
তখন নেতা হিসাবে মিঃ শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর নাম ভারতবর্ষে সকলেই জানে। এলাহাবাদে ছাত্রদের সভায় তিনি বক্তৃতা দিতেছিলেন। জওহরলাল সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। শাস্ত্রী মহাশয় ছাত্রদের