উপদেশ দিতে ছিলেন,—“তোমাদের প্রধান কর্তব্য হইল, মাতাপিতা এবং গুরুজনদের বাধ্য হওয়া। তোমাদের শাসনের ভার যাঁহাদের উপর, তাঁহাদের কথার কখনও বিরূপ আচরণ করিবে না। যদি তোমাদের সহপাঠীর মধ্যে কেহ কোন অন্যায় করে, তোমার উচিত অবিলম্বে তা কর্তৃপক্ষকে জানানো।”
শেষের এই উপদেশবাণী শুনিয়া জওহরলাল অবাক হইয়া গেলেন। এই সম্পর্কে তাঁহার আত্মচরিতে তিনি লিখিয়াছেন, “যদিও মিঃ শাস্ত্রী স্পষ্ট করিয়া ভাষায় প্রকাশ করিলেন না, কিন্তু তাঁহার বক্তব্যের আসল মানে হইল যে, ছাত্রদের তিনি নিজেদের মধ্যে গুপ্তচরের কাজ করিতে শিক্ষা দিতেছেন, তাঁহার আদর্শ অনুসরণ করা মানে 'ইনফর্মার' হওয়া। আমি সদ্য ইংলণ্ড হইতে ফিরিয়া আসিয়াছি। সেখানে সাত বৎসর ছাত্রদের মধ্যে দিবারাত্র বাস করিয়া আমি এই শিক্ষাই পাইয়াছি, যদি প্রাণও যায়, তথাপি নিজের সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিব না—লুকাইয়া চোরের মতন কাহারও বিরুদ্ধে কিছু ‘লাগানো' এবং সেইভাবে সতীর্থকে বিপন্ন করা, সমস্ত ভব্যতার বিরুদ্ধে—হঠাৎ মিঃ শাস্ত্রীর মতন লোকের মুখে সেই কথা শুনিয়া আমি বুঝিলাম, আমি যে নীতি শিক্ষা করিয়া