আসিয়াছি, তাহার সহিত এই নীতির কোনও সম্পর্ক নাই।”
এইভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষায় দীক্ষিত তাঁহার মন চারিদিক হইতে যে আঘাত পাইতে লাগিল, তাহার ফলে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন হইতে দূরে সরিয়াই যাইতে লাগিলেন। অসাধারণ ধনী পিতার একমাত্র সন্তানরূপে তিনি জীবনের অন্য ক্ষেত্র হইতে রস আহরণ করিতে লাগিলেন। শীকার, পিকনিক, পার্টি, দেশভ্রমণ, নিজের খুশীমত অধ্যয়ন— ফিটফাট পোষাক - পোষাকের নিত্য পরিবর্ত্তন— গ্যারীবল্ডী —রণক্ষেত্রে —বিচ্ছিন্ন জাতিকে এক পতাকার তলায় লইয়া আসা—আপাতত দূরে সরিয়া গেল—
এই সময়কার বৈচিত্র্যহীন জীবন-ধারার মধ্যে হঠাৎ, ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে জওহরলালের জীবনে একটা স্মরণীয় ঘটনা ঘটিয়া গেল। সেই বৎসর সর্ব্বপ্রথম তিনি প্রকাশ্যে বক্তৃতা দেন।
ব্যাপারটী এমন গুরুতর কিছু নয় যে, তাহাকে স্মরণীয় বলিতে হইবে, এই বক্তৃতা দেওয়া এমন কিছু একটা স্মরণীয় ব্যাপারই নয়; আর তা ছাড়া, জওহরলালের সে বক্তৃতাটীও এমন কিছু ছিলনা যাহা স্মরণ করিয়া না রাখিলে কাহারও কিছু ক্ষতি হইবে, তথাপি এই সামান্য ব্যাপারটী তাহার জীবনে