যে স্মরণীয় হইয়া আছে, তাহার কারণ, বক্তৃতা দিতে তিনি একান্ত অপারগ ছিলেন—বিশেষ করিয়া প্রকাশ্য সভায় বক্তৃতা করিবার কথা ভাবিলেই তাঁহার শব্দযন্ত্র যেন বন্ধ হইয়া আসিত- সেইজন্য তাঁহার জীবনে সেই ঘটনাটী স্মরণীয় হইয়া আছে—তাহা ছাড়া বক্তৃতা করিতে হইলে, তাহার বিশ্বাস ছিল যে, হিন্দুস্থানী ভাষাতেই বক্তৃতা করা উচিত—কিন্তু তিনি তখন ভাল হিন্দুস্থানী বলিতে পারিতেন না—ইংরাজী ভাষাতেই তিনি কয়েক মিনিট বক্তৃতা দেন—বক্তৃতা দেওয়ার পর ঘর্মাক্ত হইয়া যখন তিনি বসিযা পড়িলেন, স্যার তেজ বাহাদুর সপ্রু উঠিয়া তাঁহাকে আলিঙ্গন করিলেন— বক্তৃতা ভাল করিয়াছিলেন বলিয়া নয়—তিনি বক্তৃতা দিতে পারিলেন বলিয়াই এই আনন্দের অভিব্যক্তি।
এখানে এই ঘটনার উল্লেখ করিলাম এইজন্য যে লোক কয়েক বৎসর আগে হিন্দুস্থানীতে বক্তৃতা দিতে সাহস পাইত না এবং যে লোক প্রকাশ্য সভায় কথা বলিতে ভয় পাইত, আজ তাঁহার হিন্দুস্থানী বক্তৃতায় হিন্দুস্থান ভরিয়া উঠিয়াছে—সেই ভীত-সঙ্কুচিত মূককণ্ঠে আজ ভারতের কোটী মূক প্রাণের ভাষা মুখর হইয়া উঠিয়াছে ।
ইহার পর তাহার জীবনে আর একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটে, তাহার পরের বৎসরে-দিল্লী শহরে