পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
২৭

বাসন্তী পঞ্চমীর দিন—ঘটনাটি হইল, তাহার বিবাহ। ঠিক সেই সময়, আর একটি স্ময়ণীয় ঘটনা ঘটে— কাশ্মীর ও হিমালয়ভ্রমণ। সেই সময় নেহরু পরিবার বহুদিন পরে তাঁহাদের আদি বাসস্থান কাশ্মীরে ভ্রমণের জন্য যান। সেই সুযোগে জওহরলাল প্রান্তরভূমি ত্যাগ করিয়া একজন সহযাত্রীর সঙ্গে হিমালয়ের গিরিপথের দিকে অগ্রসর হন।

 বালককাল হইতেই তাহার মনে এক দুর্ব্বার ভ্রমণ-পিপাসা ছিল। সেই নির্জ্জন পার্ব্বত্য-পথ, তুষারমণ্ডিত গিরিশৃঙ্গ—পথের, বাঁকে বাঁকে অজানা সৌন্দর্য্যের অদেখা চিত্র-পটের পর পট সাজানোসেই সুগম্ভীর সৌন্দর্য্যের মধ্যে কোথায় কোন্ ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর কিছু লুকাইয়া আছে পথের সঙ্কটরূপে শেষহীন হিমালয়ের সেই সব উত্তুঙ্গ শৃঙ্গ তাঁহাকে যেন আকর্ষণ করিয়া লইয়া বলিল—এইভাবে চলার নেশায় মত্ত হইয়া তিনি প্রান্তরভূমি হইতে প্রায় ১১৫০০ হাজার ফিট উঁচুতে উঠিলেন।

 অনেক সময় তুঙ্গ দুরূহ পথে দড়ির সাহায্যে উঠিতে হইয়াছে—কোথাও কোথাও পথ বরফে এমন পিচ্ছিল হইয়া গিয়াছে যে তাহার উপর পা রাখা যায় না। এহেন ক্ষেত্রে একজন সাধারণ প্রান্তরবাসীর পক্ষে হিমালয়ের সাড়ে এগারো হাজার ফিট উঁচুতে উঠা কম ক্বতিত্বের পরিচয় নয়। যদি তাঁহারা