পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
জওহরলাল

জানিতেন যে কি দুঃসাহসিক কাজে তাহারা অগ্রসর হইয়া চলিয়াছিলেন, তাহা হইলে হয়ত অগ্রসর হইতেন না।

 হঠাৎ এই সাড়ে এগারো হাজার ফিটে এক মেষপালকের সঙ্গে তাঁহাদের দেখা হইল। তাহার মুখে শুনিলেন যে অমরনাথ আর মাত্র আট মাইলের রাস্তা। সুতরাং এতদূরে আসিয়া অমরনাথ না দেখিয়া কি করিয়া ফেরা যায়? কিন্তু কিছুদূর অগ্রসর হইবার পর, তাঁহারা বুঝিলেন, যে পথে তাঁহারা চলিয়াছেন, সে পথে পর্ব্বত-অভিযানের রীতিমত যন্ত্র-পাতি ছাড়া আর অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়— সামনেই এক বিরাট তুষারগহ্বর—খালি পায়ে এবং শুধু হাতে সে তুষারগহ্বর অতিক্রম করিয়া যাওয়া সম্ভব নয়—সুতরাং সেইখান হইতেই প্রত্যাবর্ত্তন করিতে হইল-

  এই সম্পর্কে তাঁহার আত্মচরিতে তিনি লিখিয়াছেন,“কাশ্মীরের এই সব উপত্যকা আর পার্ব্বত্য-ভূমি আমার মনকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করিত। সে-যাত্রা ফিরিয়া আসিলাম কিন্তু প্রতিজ্ঞা করিলাম, আবার আসিব। কতবার মনে মনে প্ল্যান করিয়াছি তুষারমণ্ডিত মানস-সরোবরে যাইব, কৈলাসশৃঙ্গে দাঁড়াইব, কিন্তু হায়, আজও পর্য্যন্ত তাহা কল্পনাতেই রহিয়া গিয়াছে—আমার ভ্রমণ-পিপাসা, কে জানিত, কারাভ্রমণেই পরিতৃপ্ত করিতে হইবে।"