পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
জওহরলাল

 তখন মহাত্মা গান্ধী এক নূতন আন্দোলন প্রবর্ত্তন করিলেন—সত্যাগ্রহ আন্দোলন। যে সত্যাগ্রহী হইবে, সে রাউলাট আইনকে অস্বীকার করিতে প্রতিজ্ঞা -বদ্ধ হইবে এবং পরে যখনি এমনিধারা অন্য কোন অন্যায় আইন দেশের লোকের উপর চাপানো হইবে, তাহাদিগকেও অমান্য করিতে হইবে। ইহার অর্থ হইল যে, স্বেচ্ছায় কারাবাস এবং নির্যাতনকে বরণ করিয়া লইতে হইবে।

 যখন এই সংবাদ জওহরলালের নিকট উপস্থিত হইল, তিনি বিরাট অন্ধকারের মধ্যে যেন আলো দেখিতে পাইলেন। এতদিন দেশের রাজনীতি যে নিস্ক্রিয় ও নির্বীর্য্য অলসতার মধ্যে পড়িয়া মরিতে বসিয়াছিল, তাহা যেন এক নূতন গতিশীলতা ও প্রাণ পাইল। আর আবেদন, নিবেদন ও প্রস্তাব নয়— বসিয়া থাকিয়া থাকিয়া সারা দেশে যেন ঘুন ধরিয়া গিয়াছে—এবার চলিতে হইবেই—পথে দাঁড়াইতে হইবে—যাহা অর্জন করিতে চাই তাহার জন্য যোগ্য মূল্য দিতে হইবে—বেদনায় দীক্ষা লইতে হইবে-জওহরলালের সমগ্র মন এই আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিল—কিন্তু একটা মস্তবড় বাধা তখনও ছিল—তার পিতার অনুমতি।

 আইন ও নিয়মের ছাত্র পণ্ডিত মতিলাল এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের বিপক্ষে তখন মত দিলেন।