পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
জওহরলাল

পিতার মনে যাহাতে আঘাত লাগে, তাহা হইতে নিবৃত্ত থাকাই তাঁহার কর্তব্য। সুতরাং নেতা ও পিতার ষড়যন্ত্রে সেবার জওহরলালের আর সত্যাগ্রহ, আন্দোলনে যোগদান করা হইল না। সাক্ষাৎ ভাবে দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগদান করিতে না পারিলেও, সেইদিন হইতে জওহরলালের বিক্ষিপ্ত চিত্ত তাহার আশ্রয়দণ্ড খুঁজিয়া পাইল ।

সাত

 বিধাতা যাহাকে বাঁচাইতে যান, তাহাকেই আঘাত দিয়া সচেতন করিয়া তোলেন । তাই বিধাতার আঘাত আসে কল্যাণের অগ্রদূতরূপে। মাইকেল ডায়ারের হাতে দিয়া বিধাতা সেই নির্ম্মম আঘাতে ভারতকে সচেতন করিয়া তুলিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগে যে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত হইল, তাহাতে ভারতের জাতীয় আন্দোলন সহসা অতিদ্রুত অগ্রসর হইয়া গেল। যাঁহারা এতদিন পর্যন্ত দূরে সরিয়াছিলেন, তাঁহারা সর্ব্ব দ্বিধা ও সঙ্কোচ ত্যাগ করিয়া ভারতীয় জাতীয় দলের পুরোভাগেআসিয়া দাঁড়াইলেন। পণ্ডিত মতিলাল এতদিন নিয়মতান্ত্রিকতার আড়ালে দূরে সরিয়াছিলেন,