পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৩৩

জালিনওয়ালাবাগ তাঁহাকে টানিয়া আনিল। পাঞ্জাবের অনাচার সম্পর্কে তদন্ত করিবার জন্য কংগ্রেস একটা কমিটী গঠন করিল। সাক্ষাৎ তদন্তের ভার পড়িল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও মতিলালের উপর। জওহরলাল তাহাদের সহকারীরূপে এই তদন্তের কাজে যোগদান করিলেন।

 প্রতিদিন অপমানিত, লাঞ্ছিত ও আহত লোকদের মুখে সাক্ষাৎভাবে সেই সব মর্ম্মন্তুদ অত্যাচারের কাহিনী শুনিতে শুনিতে জওহরলালের মনে তাঁহার ভবিষ্যৎ জীবনের কর্মপন্থা স্পষ্টমূর্ত্তিতে জাগিয়া উঠিল। এই সময় তিনি গান্ধীজি এবং দেশবন্ধুর সহিত কর্ম্মক্ষেত্রে যে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুযোগ লাভ করেন, তাহা অচ্ছেদ্য বন্ধনরূপে জীবনে স্থায়ী ভাবে রহিয়া যায়। দেশবন্ধু আজ পরলোকগত—গান্ধীজিও আজ জীবিত নাই। প্রত্যেক ভারতবাসী আজ জানে, মহাত্মা গান্ধীর মতে জওহরলাল সব সময় নিজের মত না দিতে পারিলেও, এই দুই শ্রেষ্ঠ পুরুষের মধ্যে যে প্রীতির সম্পর্ক ছিল, তাহা জগতে বিরল। .

 বস্তুত জওহরলাল যেদিন কার্য্যত কংগ্রেস আন্দোলনে যোগদান করেন, সেদিন হইতে কংগ্রেস আন্দোলনের একটা বিশেষ ত্রুটী তাঁহার মনে পীড়া দিতে থাকে।