পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
৩৫

বিমূঢ হইয়া তাহারা এলাহাবাদে আসিয়াছে। উদ্দেশ্য, এলাহাবাদের বড় বড় লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, যাহাতে তাঁহারা মধ্যস্থ হইয়া তাহাদের বিপদ হইতে উদ্ধার করেন। হঠাৎ এই সব অশিক্ষিত কিষাণদের এইভাবে সঙ্ঘবদ্ধ করিয়া লইয়া আসিল কে? তাহাদের নিজেদের এমন রাজনৈতিক বুদ্ধি বা শিক্ষা নাই যে তাহারা নিজেদের দুঃখ জানাইবার এই রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করিতে পারে। জওহরলাল অনুসন্ধান লইয়া জানিতে পারিলেন যে, রামচন্দ্র নামে একজন মারাঠী বহুদিন হইতে এই সব জেলায় কিষাণদের মধ্যে ঘুরিয়া ফিরিয়া তাহাদের সঙ্ঘবদ্ধ করিয়া তুলিয়াছেন। এই রামচন্দ্রের নেতৃত্বেই তাহারা এলাহাবাদে অসিয়াছে।

 জওহরলাল যমুনার ধারে সেই কিষাণদের মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। জওহরলালকে দেখিয়া সরল-প্রাণ কিষাণদের মনে হইল, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তির দর্শন-আশায় তাহারা পঞ্চাশ মাইল হাঁটিয়া আসিয়াছে, এই সেই মহাপুরুষ। জওহরলালকে ঘিরিয়া তাহারা তাহাদের ভয়াবহ দৈন্য ও অত্যাচারের কথা সমস্ত বলিল। তাহাদের ফিরিয়া যাইতে হইবে কিন্তু ফিরিয়া যাইতে তাহাদের সাহসে কুলাইতেছে না। কারণ, তালুকদারেরা জানিতে পারিয়াছে যে, তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাইবার জন্যই তাহারা