পথে একদল ইংরেজ সৈনিক তাঁহাদের সঙ্গীণের মুখে আটকাইল। গঙ্গাধরের কন্যাটীর রঙ ছিল, মেমেদের চেয়েও শুভ্র। কাশ্মীর-কন্যাদের দেহের রঙের শুভ্রতা আজও গর্ব্বের বিষয়।
ইংরেজ সৈনিকদের ধারণা হইল যে, কোন ইংরেজ-শিশুকন্যকে ইহারা ছদ্মবেশ পরাইয়া চুরি করিয়া লইয়া যাইতেছে।
সে-সময় বিচার এবং শাস্তি নিমেষের মধ্যে হইয়া যাইত; এবং এই ধরণের অপরাধের একমাত্র শাস্তি হইল, মৃত্যু।
তাঁহাদের হত্যা করিবার জন্য সৈনিকেরা যখন সঙ্গীন তুলিয়াছেন, সেই সময় গঙ্গাধরের যে পুত্রটী কিছু ইংরেজী জানিতেন, সেই অল্প পুঁজির সাহায্যেই তিনি বহু কষ্টে ইংরেজ সৈনিকদিগকে বুঝাইলেন যে, তাঁহারা বিপ্লবী নন, বিপ্লবীদের অত্যাচারে তাঁহারাও তাঁহাদের যথাসর্ব্বস্ব ফেলিয়া পরীবারবর্গকে লইয়া পলাইতেছেন।
এইভাবে সেই সামান্য ইংরেজী ভাষাজ্ঞানের সৌভাগ্যে তাঁহারা সে-যাত্রা প্রাণে বাঁচিয়া গেলেন। দিল্লী ত্যাগ করিয়া তাঁহারা আগ্রায় আসিয়া নূতন করিয়া বসবাস আরম্ভ করিলেন।
এই আগ্রায় বাস করিবার সময় গঙ্গাধর দেহত্যাগ করেন এবং তাঁহার মৃত্যুর তিনমাস পরে