এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহ স্পষ্ট প্রতীত হইয়া থাকে যে গ্রন্থকার ও পাঠক উভ. য়েই স্বস্ব প্রত্যাশায় যুক্তি-পথ-বহির্ভূত হইয়া থাকেন। আপন সমস্ত রচনাই লোকমণ্ডলে সাদরে পরিগৃহীত হইবে, ইহা গ্রন্থকার মাত্রেরই মুখ্য বাসন; এদিকে, গ্রন্থে পূর্ণ প্রীতি অনুভূত হইবে, ইহা পাঠক মাত্রেরই ঐকান্তিক প্রত্যাশ । কিন্তু কোন এক ব্যক্তি আপামর সাধারণের বিভিন্ন ভাবাপন্ন সহসুবিধ মনের সন্তোষ সম্পাদনে সমর্থ হইবেন, এরূপ অণকাঙ্খা গ্রন্থকার কোন মতেই প্রকাশ করিতে পারেন না, এবং কোন এক ব্যক্তির সমস্ত সময় ও যাবত্নীয় পরিশ্রম লোকমণ্ডলীর কেবল মাত্র প্রীতির নিমিত্ত ব্যয়িত হইবে, তাহ পাঠকেরাও কোন মতে প্রত্যাশ করিতে পবন না। অতএব এন্থকার ও পাঠক উভয়েই পরস্পরের সহিত সমান সম্বন্ধে সম্বদ্ধ হইয়াছেন; কারণ এক পক্ষ যে পরিমাণে প্রশংসা লাভ করেন, অপর পক্ষ সেই পারমাণে প্রীত হইয় থাকেন। সকল ব্যক্তিই ইহা স্বীকার করিয়া থাকেন, ষে সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর গ্রন্থ মর্ত্য জীবে সম্ভাবতে পারে না; অথচ গ্রন্থ দর্শনকালীন অনেকেই ইহার বিপরীত মতাবলম্বী হইয়া থাকেন। দোষধ্যায়ী পাঠকের গ্রন্থের কোন অংশে ভাবঘটিত বা শব্দ-বিন্যাস-সম্বন্ধীয় কোন সামান্য ব্যত্যয় সন্ধান 零