এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ভূমিকা

 আমি সরলতার সহিত স্বীকার করিতেছি, যে এই পুস্তক প্রকটনকালীন আমি অধ্যয়নের সাহায্য লইতে ত্রুটি করি নাই; স্বজাতীয় ও বিজাতীয়, জীবিত ও মৃত অনেক প্রশস্তমনঃ সুপণ্ডিত গ্রন্থকারদিগের বিচারেরও ব্যবহার করিয়াছি; মিত্র ও শত্র উভয়ের দ্বারাই গ্রন্থের দোষপুঞ্জ অবগত হইতে যত্ন করিয়াছি; এবং আমার লেখনি কোন জঘন্য স্বার্থীভিপ্রায়ের বশবর্তী হয় নাই, কোন কুৎসিং রিপু বা কুসংস্কারে পরিচালিতও হয় নাই, ও অনুপযুক্ত ব্যক্তির প্রশংসা বা কোন দুর্ভাগা জনের নিন্দায়ও প্রবৃত্ত হয় নাই। অধিকন্তু আমি স্বপক্ষে পাঠকবর্গের নিকট এই প্রার্থনা করি, যে উপহার আমার অপরিণত যৌবন দশা অবলোকন করিয়া এই ক্ষুদ্র গ্রন্থের প্রতি কিঞ্চিৎ সকৰুণ দৃষ্টি নিঃক্ষেপ করবেন।

 পশ্চাল্লিখিত এই কএক পত্রে যাহা লিখিত হইল, ইহা কোন এক খানি গ্রন্থের সমুচয় অনুবাদ নহে; কিন্তু কতিপয় বৈদেশিক সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থের কিয়দংশের এক প্রকার অনুবাদ কয়েক স্থানে দৃষ্ট হইবে। ফলে, ইহাতে সে সকল ভাব গ্রথিত হইল, তাহার মধ্যে অনেকই পূরাকালীন পণ্ডিত কুলের চিন্তার সহিত ঐক্য হইতে পারে, কিন্তু তজ্জন্য যাঁহারা সেই সকল ভাবকে আমাদের নিজ সম্পত্তি নহে বলিয়া দোষারোপ করিতে পারেন, উহারা অনায়াসেই কহিবেন, যে আমাদের বদনমণ্ডল আমাদের নহে, যেহেতু তাহা আমারদের পিতৃ-মুখারুতির সহিত সমদৃশ হইয়া থাকে।

 বিজ্ঞবর শ্রীযুত বাবু দ্বারিকানাথ চক্রবর্তী ও শ্রীযুত বাবু অন্নদাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় এই পুস্তক প্রকটনকালে আমাকে যেমনতপ্রকার স্নেহ-সুলভ ও ঔদার্য্য-জনিত উৎসাহ প্রদান করিয়াছেন, তাহা আমি বোধ করি মদীয় হৃদয়হই