পাতা:জগচ্ছবি.pdf/১৮

জগচ্ছবি।

৯

পাত্র ছিলাম, কারণ এক্ষণে ঘৃণার হেতুভূত হইয়াছি। আমার এই সামান্য সম্পত্তি যখন এত ব্যক্তির চিত্তবিকার ঘটাইয় তাহাদিগকে আত্মীয়-বিচ্ছেদ করিতে সাহসী করিল, তখন না জানি অধিক ধনের স্বামী হইলে, পৃথিবীর কত লোকেরই অসদ্ব্যবহারে তাপিত হইতে হইত। কারণ, যে সকল ব্যক্তির অসচ্চরিত্র আমাদের নিকটপৰ্য্যন্ত ব্যাপৃত হইবার সম্ভাবনা থাকে না, সৰ্ব্বানিষ্টকারি ধন আমাদিগকে তাহদের সহিত মিলিত করে, ও তখন তাহাদের কদাচারের পরিচয় পাওয়া যায় । শ্ৰীদেব উত্তর করিলেন, মিত্ৰ ! তুমি যাহা কহিলে সে সকলি সত্য; ইহা এ পৃথিবীর চিরকালাগত রীতি; মনুষ্য এমত দুৰ্ব্বল ও ধৈর্য্যহীন, ষে পাপের সহিত সংগ্রামে তাহার পরাজয় নিতান্ত সহজ ব্যাপার; কারণ যদিও লোক-লজ, মনুষ্যশাসন ও ধৰ্ম্ম-ভয় তাহার পক্ষাবন্ধী হইয়া থাকে, তথচ তিনি যুদ্ধ-শ্রম অধিক ক্ষণ ধৈর্য্যাবলম্বনপূর্বক সন্থ করিতে পারেন না ; অনেকানেক সুবিদ্বান ও সুবিখ্যাত ব্যক্তিও সময়, স্থান, ও ঘটনা বিশেষে পাপকর্তৃক পরাভূত হইয়াছেন। সুতরাং সামান্য ব্যক্তিরা যে নান। সুযোগের সন্মিলনে মুসৎকাৰ্য্য সাধনার্থে সাহসী হইবে, ইহা বিচিত্র নহে। ইহাতে ধীর সিংহ কছিলেন, প্রিয় সখে! মনুষ্য যে সুযোগাভাবে পাপাচারে প্রবৃত্ত হইতে অক্ষম হয়,