বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে, মনুষ্যের ন্যায় সাহায্যসাপেক্ষ জীব, সমস্ত বিশ্বমণ্ডলে আর দুষ্ট হয় না ; এবং তঁহকে যেৰূপ নানা সম্বন্ধস্থত্রে স্ব জাতীয়ের সহিত সম্বন্ধ থাকিতে হইয়াছে, এৰূপ অপর কোন প্রাণিকে থাকিতে হয় নাই। এজন্য স্বাধু-বোধ ও প্রকৃতি উভয়েরি আদেশানুসারে তিনি সামাজিক ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিতে বাধ্য হইয়াছেন ; এমত কি, বনবাসি, আবাস-গৃহ-শুনা, মনুষ্যকারমাত্রধারি অসভ্য-জাতি দিগের মধ্যেও, সমাজের অবয়বের যদিও সকল অঙ্গ না হউক তথাচ কতিপয় অঙ্গ ও দুষ্ট হুইয়া থাকে।
মনুষ্যের স্বভাব অনুসন্ধান করিয়। দেখিলেই ভীতি হইতে পারে, যে সমাজের অবস্থার উপর ক্টাম্বার সাংসারিক সুখ সম্পূৰ্ণৰূপে নির্ভর করিয়া থাকে; এবং যেকালে যেৰূপ মনুষ্য মণ্ডলীর সহিত র্তাহার সম্পর্ক থাকে, সেই কালিক সেই সেই মওলর রাজকীয়, এবং বিদ্যা ও জ্ঞান সম্বর্থীয় উন্নতি ও অধোগতির সহিত র্তাহার মঙ্গলের বৃদ্ধি ও হ্ৰাস হইয়া থাকে। একারণ যে সমাজ যে পূরিমাণে জ্ঞানালোকে আলোকিত হয়, তৎসমাজিক জনগণ তুৎপরিমাণে সংসার মুখ ভোগ করিয়া থাকেন । এ জগতে ষ্ণুেঙ্গ কাৰ্য্য-প্রণালী স্থাপিত হইয়াছে, তাছার দ্বারা এক জন ব্যক্তি স্বয়ং অতি তত্ত্বজ্ঞ ও সাধু হইলেও তিনি কখনই সম্পূর্ণৰূপে পার্থিবমুখ আ-
