এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
জগচ্ছবি।
১৯

করি, তাহা হইলে মানবজীবনের অধিকাংশ দুঃখ একেবারে অন্তঃস্থত হইতে পারে; কারণ আমরা যদ্যপি,একবার চিন্তা করিয়া দেখি, যে মনুষ্য বিদ্যা বুদ্ধি-জীবী ও ধৰ্ম্ম-প্রবৃত্তিসংযুক্ত হইয়াও কি কারণে এৰূপ প্রকৃতি-ৰিগৰ্হিত পথে পদার্পণ করেন, তাহা হইলে অনায়াসেই জানিতে পারি, যে র্তাহার স্বার্থপরতার প্রাবল্যই সংসারে এত ৰিপৰ্য্যয় ঘটাইয়া থাকে । তাহার আশয়ের জঘন্যতা ও অপ্রশস্ততা এবং তাছার অন্ত দৃষ্টির নিস্তেজ ভাৰই কেবল র্তাহকে এৰূপ স্বার্থপর করিয়াছে।

 যদ্যপি অপর কোন শ্রেষ্ঠ লোকহইতে কোন পুরুষ মানব সমাজে অবতীর্ণ হয়েন, তাহা হইলে প্রথমে তাহাকে সমাজের বাহ্য-দৃষ্টিদ্বারা প্রতারিত হইতে হয়, সন্দেহ নাই --প্রথম দৃষ্টিতে সামাজিক বাহ্য-শোভন ব্যবহারকে অকৃত্রিম সম্প্রীতির কাৰ্য্য বলিয় তাহার ভ্রম জন্মে। কিন্তু সামান্য অনুসন্ধান করিলেই তিনি আপন প্রথম সিদ্ধান্তকে ভ্রান্তিমুলক বলিয়া নির্ণত করেন, তাছাতে আর সংশয় নাই। তখন তিনি দেখিতে থাকেন, মনুষ্যসকলের চরিত্র ও ব্যবহার তাহারদের পরস্পরের মুখারুতির ন্যায় সম্পূর্ণ প্রভিন্ন ; তাহারদের পরস্প,রের ঐক্যতা ও প্রতিভাব অধিকাংশ স্থলেই আত্ম প্রয়োজনের বিভিন্ন আকার মাত্র; এবং তাহারদের পরম্পরের মিলন অনেক ক্ষেত্রেই মালাকারদিগের