এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
জগচ্ছবি।
৪৭

করিলেন। আমিও বহু দিবসাৱধি এ নগরীতে অবস্থিতি করিয়া এক প্রকার বিরক্ত হইয়াছিলাম। কারণ মনুষ্য-নয়নের এমনি আশ্চর্য্য স্বভাব যে, সে। একবিধ সামগ্ৰী পুনঃপুনঃ দর্শন করিয়া পরিতৃপ্ত হয় না। জগদীশ্বর ময়নকে নুতন পদার্থ প্রাপ্তির নিমিত্ত উৎসুক করিয়াছেন; সুতরাং দৃষ্টপদার্থের অভিনবত্ব হ্রাস হইলেই চক্ষু নুতন বস্তুর অনুসন্ধান করিতে থাকে। বিশেষতঃ, নয়নও মনের ন্যায় এক প্রকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রার্থনা করিয়া থাকে – নয়নও মনের ন্যায় এক স্থানে আৰদ্ধ থাকিতে ঘূর্ণ। বোধ করিয়া থাকে। এ নগরীতে নয়নের গতি চাতুঃপার্ষিক প্রাচীর বা প্রাসাদ-শ্রেণীতে নিবারিত হইয়। থাকে; সুতরাং চক্ষু আবদ্ধমান অপ্রশস্থ স্থানহইতে প্রস্থান করিয়া স্বভাবের অনাবদ্ধ মুস্থর-বিস্তৃত প্রদেশে পরিভ্রমণ করিবার নিমিত্ত নিতান্ত উৎসুক হইয়াছিল। একারণ রায় বাছাছুরের সেই প্রস্তুবে আমি সানন্দে সন্মত হইলাম।

 আমরা যখন নগরীহইতে বহির্গত হুইয়া পল্লিগ্রামাভিমুখে গমন করিতে লাগিলাম, তখন আমার মনে কত বিধ প্রত্যাশা উপস্থিত হইতে লাগিল। মনে করিতে লাগিলাম, যে নয়ন বহু কালাবধি কে বলমাত্র শিল্প-সঙ্কৃত সামগ্রীতে আবদ্ধ থাকির। বিরক্ত হইয়াছে, পল্লিগ্রামে গমন করিয়া তাহাঁকে নৈসর্গিক পদার্থপুঞ্জের পরম রমণীয় সৌন্দর্য্যে