এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ " ` জগচ্ছবি । আপনাদের পোষ্যবৰ্গকে ঘোর বিপদে নিক্ষিপ্ত করিতেছে ! সে যাহা হউক, নবীনকুমার এক্ষণে যেৰূপ ঋণে আবদ্ধ হইয়াছেন, তাহাতে আপন সততা রক্ষা করা র্তাহার পক্ষে নিতান্ত সুকঠিন ব্যাপার হইয়া উঠিয়াছে; কারণ নিঃস্ব ও ঋণি ব্যক্তির ঋজ-গমন অতিশয় অসম্ভাবনীয়। ঋণ সকল সামগ্রীতেই প্রলোভিত হইয় থাকে ঋণ মনুষ্যর আত্মাদরকে খৰ্ব্ব করে, ব্যবসায়ী ও ভৃত্যবর্গের করুণায় তাহকে নিক্ষিপ্ত করে, এবং বিস্তর বিষয়ে তাহাকে নিতান্ত পরাধীন করিয়া ফেলে । এতদ্ব্যতীত ঋণি ব্যক্তি কোন মতেই সত্যপরায়ণ থাকিতে পারেন না। উত্তমর্ণের নিকট কত বারই তাহাকে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিতে হয় ! কত মিথ্যা কথারই বা স্বজন করিতে হয় ! ডাকৃতর জনসন যৌবনকালীন ঋণকে সৰ্ব্বনাশের হেতু বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। তিনি তদ্বিঘয়ে যে বচন প্রয়োগ করিয়া গিয়াছেন, তাহা মহোপকারক ও চিরস্মরণীয় । উক্ত মহাত্মাসকল যুবক জনকেই এই সৎপরামর্শ প্রদান করিয়াছেন, “ ঋণকে কেবল মাত্র অসুবিধ বলিয়া গণ্য করিও না ; তাহাকে তোমরা অবশেযে ঘোর বিপদ বলিয়া জানিতে পারবে। ধনহীনতা পরোপকারের এত উপায় হরণ করিয়া থাকে, এবং স্বাভাবিক ও নীতি-সম্বন্ধয় বিপৎপাত নিবারণে মনুষ্যকে