পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] পুতুল পেলে তো সব গোল মিটে যাবে ? তুমি এই থানে দাড়াও, আমি আমার পুতুলটি তোমায় এনে দিতেছি। (অম্বালিকার গৃহ হইতে বহির্গমন ) নুর । আমি আর তোমার পুত্তলিকাটি চাই না, আমি চল্লেম। ( গমনোদ্যত ) সেলিম । নুরজাহান, তুমি অস্বালিকাকে আর বৃথা ভৎসন। করিও না। আমিই তোমাকে পুত্তলিকা দিবার নিমিত্ত ডাকিতে পাঠাইয়াছিলাম। কিন্তু নুরজাহান, আমি তোমাকে সে পুত্তলিকাটি দিব, ইহা মৃত্তিকার নয়, রৌপ্যের নয়, স্বর্ণের নয়, কিম্বা মহামূল্য হিরকেরও নয় ; ইহা একটা সজীব পুত্তলিকা, ইহা দিল্লীশ্বর আকবরের ভাবি উত্তরাধিকারী ; বোধ হয়, এই পুত্তলিকাটীর সহিত তুমি এক দিবস, বিস্তীর্ণ ভারতভুমি শাসন করিতে পারিবে ; এখন বল দেখি নুরজাহান, তোমার এই পুত্তলিকাটি কি মনে ধরে ? নুর । আমি এত কি সৌভাগ্য করিয়াছি, যে আকবর সার পুত্রবধু হইব ? তবে যদি পূৰ্ব্ব জন্মের, কোন মুকুতিবলে হইতে পারি জানি না। সেলিম । নুরজাহান, তুমি এ বেস জেনো, যে তুমি ব্যতিত আমার হৃদয়ে আর কেহই স্থান পাইবে না । নুর । রাজকুমার, আপনিও এ বেস জানিবেন, যে অদ্যাবধি নূরজাহান আপনার দাসী হইল। কিন্তু সম্রাট এ দুঃখিনীকে পুত্রবধু করিবেন কি, তাহা তো বোধ হয় না। সেলিম । সে নিমিত্ত তোমার চিস্তিত হইবার আবশুক নাই । যদি পিতা আমাকে তোমায় বিবাহ করিতে না দেন, কোন ( २ )