পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*s-so ইতিহাসের পূর্বকাল। *ート。 আমরা দেখিতে পাই গারোজাতি বাঙ্গালীদের অপেক্ষ কম সভ্য। গারোর লৌহের অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করিতে সমর্থ নয় । তাছাদের কোন লিপিগত ভাষা নাই; কোন নিয়মিত শাসনপ্রণালীও নাই। প্রত্যেক গ্রামে যে কেহ বলিষ্ঠ থাকে সেই প্রভুত্ব করে ; তাছাকে কোন রাজার বা জাতীয় সভার আদেশবশ হইয়। কার্য্য করিতে হয় না। ইংরাজের জাহাজে করিয়া পৃথিবীর সমস্ত দেশ পরিভ্রমণ করিয়া থাকেন, এবং গারোদের অপেক্ষা কুশত অসভ্যজাতি দেখিতে পান। কতকগুলি জাতি লেছের অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করিতে জানে না। ইহার দ্বীপে অথবা বহুদূরস্থিত দেশে বাস করে, সুতরাং কোন লৌহের অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করিতেও সমর্থ হয় নাই। ইহার কেবল শাণিত প্রস্তরের অস্ত্রশস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতে পারে। এরূপ অস্ত্রে বন কর্তন, ভূমিকৰ্ষণ বা গৃহাদি প্রস্তুত করন দুষ্কর। এই উপায়বিহীন অসভ্যজাতির পশুবৎ জীবিক নির্বাহ করে। যখন তাহাবা কোন একটা বৃহৎ জন্তু ধরিতে পারে তখন তাছাদের মধ্যে ভোজ হয়। আবার যত দিন পর্য্যন্ত আর একটা জন্তু ধরিতে না পারে তত দিন নিরাহারে থাকে। কোন ২ অসভ্যজাতি তাছাদের বৃদ্ধ স্ত্রীলোকদিগকে আঁছার না দিয়া মারিয়া ফেলে। কুকুরদিগের উপরও তাহার এরূপ নিষ্ঠুরাচরণ করে না, যেহেতু তাছাদের বিবেচনায় কুকুরের বৃদ্ধ স্ত্রীলোকদিগের অপেক্ষ অধিক কার্যোপযোগী। অন্যান্য অসভ্যজাতির নরমাংসাশী। যতদুর পর্যন্ত আমরা জানি তাছাতে বোধ হয় কি আসিরা কি ইউরোপ উভয়ত্রই নরমণ্ডলী এক সময়ে সকলেই অসভ্য ছিল, পরে ক্রমশঃ সভ্যতা সোপানে অধিরোহণ করে। আমাদের পরিচিত জাতিদের মধ্যে যাহারা আদিমতম তাছাদের শাণিত প্রস্তরের ব্যতীত অন্য কোন প্রকার অন্ত্রশস্ত্র ছিল না। তাহারা ভূমিকৰ্ষণ করিতে পারিত না এবং তাছাদের কোন গৃহপালিত মেষৰ্বষাদি ছিল না । তদনন্তর কোন জাতি ব্ৰঞ্জের অন্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করিতে শিখিল। ব্ৰঞ্জে নয় ভাগ তাজ ও এক ভাগ রাঙ থাকে। এই ধাতুৰয় অতিশয়