পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৮২

[ ৭৩ ] এবং ফরাসির উছিাদের রণতরী ও সৈন্যসকল তুরকীদের সাহায্যার্থে তুরুষ্কে প্রেরণ করিলেন। রুসীয়দিগের বহুসংখ্যক সৈনিক নিহত এবং তাছাদের কৃষ্ণসাগরস্থ রণপোতসমূহ সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হইল। পরিশেষে রুসায়ের তুরুস্ক পরিত্যাগ করিতে বাধা হইলেন। ইংরাজ রণতরী এতদূর প্রবল ছিল যে রুসীয়ের এই ক্ষুদ্র যুদ্ধে ইংরাজ বা ফরাসিদিগের কোন ক্ষতি করিতে, বা স্বদেশ ছইতে বহির্গত হইয়া ইংরাজ সাম্রাজ্যের কোন অংশ স্পর্শ করিতে, সক্ষম হন নাই। যুদ্ধের পরিণাম এই ছইল যে, তুরুষ্কের খৃষ্টীয়ান উপরাজ্য সকল পূৰ্ব্বাপেক্ষা বলবত্তর এবং রুসীয়দের পক্ষে কনষ্টাণ্টিনোপল জয় করা অধিকতর দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল। সপ্তত্রিeNশ অধ্যায় । সিপাহি-বিদ্ৰোছ । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষের দেশীয় সৈন্যেরা ইংরাজদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে। ইহাকে ভারতবর্ষীয় সৈন্য-বিদ্রোহ বলে; কারণ সৈনিকেরাই কেবল এই বিদ্রোহাচরণে প্ররক্ত হয়, সাধারণ প্রজাবৰ্গ তাছাতে যোগ দেয় নাই। প্রজার প্রায় শান্ত ভাবেই ছিল, এবং এই বিদ্রোহ শাস্তির নিমিত্ত অনেকে ইংরাজদিগকে সাহায্য দানও করিয়াছিল। সিপাহিদিগকে টোটা ব্যবহার করিতে দেওয়া হয়। এই টোটা সকলে শূকরের চব্বি আছে, সুতরাং ইংরাজের প্রকারাস্তরে তাহাদিগের জাতিনাশে উদ্যত হইয়াছেন এই বিশ্বাসে দুই এক দল সৈন্য প্রথমে বিদ্রোহী হয় ; তৎপরে অন্য সৈন্যদলগুলিও ক্রমে ২ তাহাদিগের সহিত যোগ দেয়। কোন ২ স্থলে বিদ্রোহীরা তাহাদিগের অধিনায়কদিগকে বধ করে, এবং দুই এক বার ইংরাজদিগের স্ত্রীলোক এবং বালকবালিকাদিগকেও হত্যা করিতে সমর্থ ছয় । কিন্তু তাহারা ইংরাজদিগের সহিত সন্মুখযুদ্ধে একবারও জয় লাভ করিতে পারে নাই। বিদ্রোহীর দেশে ইতস্ততঃ পৰ্য্যটন করিয়া লুট করিতেই ভাল বাসিত, এবং লুণ্ঠনকালে দেশীয় ও ইংরাজদিগের সম্পত্তি মধ্যে প্রভেদ করিত না । যখন এই বিদ্রোহ আরম্ভ হয় তখন অতি অস্পসংখ্যক ইংরাজ সৈন্য ভারতবর্ষে ছিল । তত্ৰাচ ইংরাজের দিল্লী অধিকার এবং বিদ্রোহীদিগকে কথঞ্চিৎ দমন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু এই বিদ্রোহের বার্তা ইংলণ্ডে পৌঁছিৰামাত্র একবারে ৭০,০০০ সংখ্যক ইংরাজ সৈন্য ভারতবর্ষে প্রেরিত হয়। এই মৰাগত ইংরাজ সৈন্য কর্তৃক প্রভাঙ্কিত ইয়। বিদ্রোহীর অবশেষে বনে পলায়ন করিতে বাধ্য হয়। :