পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৯২

[ sبf b পঞ্চচত্বারি^শ অধ্যায় । ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে ইংরাজজাতির অবস্থা। রাষ্ট্রী ভিক্টেরিযa"লনস্কুলে ইংরাজজাতি ও ইংরাজক্ষমতা পৃথিবীর সকল স্থানেই বিস্তুত ভু পড়িয়ছে। প্রাচীন ইংরজিজাতি এক্ষণে সংখ্যায় ও ক্ষমতার অন্যান্যদলীত উপেক্ষ শ্রেষ্ঠ ইয়া উঠিছে। ইয়াদের পরেই ইউনাইটেড়ষ্টেটুস্বাসী অাধুনিক ইংরাজজাতিকে নির্দেশ করা যাইতে পারে। এবং ইউনাটেড ষ্টেটসবাসীদের পরে সম্ভবতঃ জাৰ্ম্মণজাতির নাম উল্লিখিত হইতে পারে। ইংরাজজাতি যে টিউটন বংশের শাখা জাৰ্ম্মণেব সেই বংশের স্কন্ধ স্বরূপ। ইংরাজের প্রায় সমুদায় উত্তরামেরিক, মহাদেশ অষ্ট্রেলিয়া, এবং নবজিলগু ও টাসমানিয়া দ্বীপ অধিকার করিয়াছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য স্থানে ইংরাজ ঔপনিবেশিকদিগের সংখ্যা দিন ২ রদ্ধি হইতেছে। ইংরাজজাতি ও ইংরাজী ভাষার বিস্তৃতি দেখিয়া এরূপ বোধ হয় যে ইহারা সময়ে সমস্ত ভূমণ্ডলে প্যাপ্ত হইযা পড়িবে। ইংরজিজাতির বৈজ্ঞানিক অবিন্ধিয়া ও তৎবিষয়ক পুস্তক সকল এত উৎকৃষ্ট ষে সেই সকল পাঠ করিবার নিমিত্ত বিদেশীয় বিদ্বান ও বিজ্ঞানবিং ব্যক্তির ইংরাজীভাষা শিক্ষা করিতেছেন ; ইংরাজী ভাষাকে বিশ্ব-ভাষা করিবার নিমিত্ত সৰ্ব্বত্র প্রস্তাব উত্থাপিত হইয়াছে। ইতিপূৰ্ব্বে লাটিনই বৈজ্ঞানিক ভাষা ছিল । ওলান্দাজী ভাষায় কোন পুস্তক রচিত ছইলে ওলন্দাজেরাই তাহা বুঝিতে পারিত, রুসীয় ভাষায় লিখিত হইলে রুসীয়েরাই তাছা পড়িতে পারিত। এই নিমিত্ত বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতেরা কোন পুস্তক রচনা করিতে হইলে, সকল দেশের পণ্ডিতদিগের জ্ঞানসৌকর্য্যার্থে তাহ লাটিন ভাষায় লিখিতেন, কারণ ইউরোপে সকল জাতির বিদ্বাৰু ব্যক্তির লাটিমুভাষ শিক্ষা করিয়া থাকেন। পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে যে গ্ৰীকৃ ও রোমকেরা তদাপরিজ্ঞাত সমস্ত জগতে সাম্রাজ্য সংস্থাপন ও সভ্যতার উচ্চতম শিখরে আরোহণ করিলে পর তাহারা বৰ্ব্বর জাতিদিগের কর্তৃক পরাভূত হয় ; ও সেই সময় হইতে সভ্যতার অবনতি ও তামস-যুগের আরম্ভ হয় । আমেরিকাতেও বোধ স্বয়, কলম্বলের আবিষ্কারের বহুকাল পুৰে অসভ্য জাতির আসিয়া আদিম সজ অধিবালাদিগকে উজ্জ্বলিত করে। এই কারণবশতঃই তাছাদের কৃষি, স্থপতি এবং অন্যান্য বিদ্যালকল সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হইয়াছে। লোকে এক্ষণে তাছার চিহ্নও দেখিতে পায় না। এই সকল ব্যাপার দেখিয় শুনিয়া সহজে প্রত্যেক ইংরাজের অস্তরে এই প্রশ্নের উদয় ছয় যে সময়ে কি ইংল্পাঞ্জাতি ও ইংরাজসভ্যতারও এই পরিণাম হইবে ? এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর, – না। পৃথিবীর সকলস্থান আবিষ্কৃত হইয়াছে ;