পাতা:জগৎ-কথা - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ-কথা জড়জগৎ জগৎ-কথা অর্থাৎ জড়জগতের কথা বলিব। জড়জগতের কথা জড়েরই কথা। জড়ের কথা বলিবার পূর্বে, জড়পদার্থ বলিতে আমরা কি বুঝি, সেটা স্পষ্ট বুঝা আবশ্যক। কোন্ শব্দ কোন্ অর্থে প্রয়ােগ করিব, সেটা আগে স্থির করিয়া না লইলে বড় গণ্ডগােলে পড়িতে হয়। লেখক এক অর্থে লিখিতেছেন, পাঠক অন্য অর্থ মনে করিয়া পড়িতেছেন, এরূপ প্রায় ঘটে; ফলে অকারণ উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘটিয়া যায়; মনে নানারূপ খট্‌কা থাকে, তাহার মীমাংসা হয় না। জড়-শব্দটি আমাদের প্রাচীন দর্শনশাস্ত্র হইতে গৃহীত। সেই প্রাচীন শাস্ত্রে, যাহা চেতন নহে, তাহাকে জড় বলিত। জগতে এমন এক জন কেহ আছেন, তিনিই ‘আমি’; আর যাহা কিছু আছে, তিনিই অর্থাৎ সেই ‘আমি’ই তাহার জ্ঞাতা। আমি জ্ঞাতা, আর সমস্ত আমার জ্ঞানের বিষয়। চন্দ্র, সূৰ্য, ইট, কাঠ আমার জ্ঞানের বিষয় ; আমার দেহ ও চক্ষু-কৰ্ণাদি অবয়বও আমার জ্ঞানের বিষয় ; এমন কি, আমার অন্তরিন্দ্রিয় যে মন, যাহার সাহায্যে আমি চন্দ্র- সুৰ্যের ও ইট-কাঠের তত্ব আহরণ করিয়া থাকি, এবং আমার যে বুদ্ধি, যারা মনকর্তৃক সমাহৃত সেই তত্ত্বকে পরিপাক করিয়া আমি কাজে লাগাই, সেই মন ও বুদ্ধি পর্যন্ত আমার জ্ঞানের বিষয়। শাস্ত্রমতে