পাতা:জগৎ-কথা - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ-কথা কেবল আমিই একমাত্র চেতন পদার্থ ; আর যাহা কিছু আছে, তৎসমস্তই আমার জ্ঞানের বিষয় ও চেতনাহীন জড়পদার্থ। অতএব চন্দ্র সূৰ্য্য ইট কাঠ হইতে আমার মন ও বুদ্ধি পর্যন্ত সমস্তই জড়পদার্থ। প্রাচীন দার্শনিকদিগের এইরূপ বিচারপ্রণালী আমাদের নিকট আপাতত হেঁয়ালির মত ঠেকে। ইহার তথ্য-নির্ণয় লইয়া এখন কাজ নাই। পাশ্চাত্য শাস্ত্রে জগতের দুইটি অংশের কথা শুনা যায় ; একটার নাম mind আর একুটার নাম matter; যে শাস্ত্র mind-এর তত্ত্ব আললাচনা করে, তাহাকে আজকাল মনােবিজ্ঞান (mental science) বলা যায় ; আর যে শাস্ত্র matter-এর তত্ত্ব আলােচনা করে, তাহাকে জড়বিজ্ঞান।( physical science) বলা যায়। আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রকারদের হিসাবে কিন্তু একালের মনােবিজ্ঞানেরও অধিকাংশ জড়বিজ্ঞানের অন্তর্গত হইয়া পড়ে। জড় কাহাকে বলে ? সে যাহা হউক, পাশ্চাত্যশাস্ত্রে যাহাকে matter বলে, আজকাল বাঙ্গলায় জড়শব্দটিকে সেই অর্থে প্রয়ােগ করা হয়। প্রাচীন দর্শনশাস্ত্রে জড়ের অর্থ ব্যাপকতর ; হালের ভাষায় উহার অর্থ সঙ্কীর্ণ। আমরা এই গ্রন্থে জড় শব্দটি এই আধুনিক সঙ্কীর্ণ অর্থেই প্রয়ােগ করিব। ইংরেজিতে যাহাকে matter বলে, আমরা তাহাকে জড় বলিব। এই সীৰ্ণ অর্থেই বা জড়পদার্থের প্রকৃত তাৎপৰ্য কি, তাহা স্থির করা আবশ্যক। কোটা জড়, কোন্‌টা জড় নহে, ইহার মীমাংসা আপাততঃ সহজসাধ্য মনে হইতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের ইতিহাসে