পাতা:জগৎ-কথা - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জড় কাহাকে বলে দেখা যায়, এই মীমাংসা লইয়া বহুদিন ধরিয়া পণ্ডিতে পণ্ডিতে যুদ্ধ চলিয়াছে। তাপ, আলােক, তাড়িত প্রভৃতিকে এক কালে জড়ের মধ্যে স্থান দেওয়া হইত; এখন আবার সদর্পে দলা হয়, উহারা জড় নহে; জড়ের ধর্মমাত্র। ফলে কোটা জড়, আর কোটা জড়ের ধর্ম, ইহার নির্ণয় বড় কঠিন ব্যাপার। আপাতত মনে হইতে পারে, জড়ের একটা নির্দিষ্ট পারিভাষিক সংজ্ঞা দিলেই গােল মিটিয়া যাইবে ; যে জিনিসটা সেই সংজ্ঞার ভিতর পড়ে, তাহা জড়; যাহা পড়ে না, তাহা জড় নহে। কিন্তু ফলে দেখা গিয়াছে, কোন সংজ্ঞাই যােল আনা মনে লাগে না ; প্রত্যেকটাতেই একটা না একটা গােল থাকে। সম্প্রতি আমরা সেই গােল-ব্যহ- ভেদের প্রয়াস পাইব না। জড়ের কয়েকটি সংজ্ঞা, যাহা নানা পণ্ডিতে নানা সময়ে প্রস্তাব করিয়াছেন, তাহাই পাঠকের সম্মুখে স্থাপন করি, এবং অতি সংক্ষেপে দেখাইব, প্রত্যেকটাতেই একটা না একটা আপত্তি উঠে। (১) যাহার ওজন বা ভার আছে, তাহা জড়। আপত্তি এ কালের পণ্ডিতের আকাশ-নামক একরূপ জগদ্ব্যাপী পদার্থ মানিয়া লন, উহার ভার আছে কি না, তাহার প্রমাণ নাই ; অথচ অনেকে উহাকে জড় বলেন। সম্প্রতি ইলেক্ট্রন নামে একরূপ কণিকা আবিষ্কৃত হইয়াছে ; অনেকের অনুমান যে, ঐ ইলেক্ট্রন-সমবায়ে অন্যান্য জড় নির্মিত হইয়াছে; কিন্তু ঐ ইলেক্ট্রনের ওজন আছে কি না কেহ জানে না। উহাকে জড় বলিব কি না? (২) যাহার দেশব্যাপ্তি আছে, অর্থাৎ যাহা স্থান ব্যাপিয়া থাকে, তাহা জড়। ইহাতেও আপত্তি ঘটে। বৈজ্ঞানিকেরা শক্তি- নামক আর একটা পদার্থ মানেন, তাহা জড় নহে; অথচ তাহার