পাতা:জগৎ-কথা - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪, জগৎ-কথা দেশব্যাপকতা আছে। আলােক উত্তাপ প্রভৃতি এই শক্তির বিবিধ রূপ। (৩) যাহা চক্ষু কর্ণ, প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের গ্রাহ, তাহাই জড়। ইহাতে আপত্তি আসে, যাহা ইন্দ্রিয়গ্রাহ, তাহা জড় স্বয়ং, না জড়ের ধর্ম? সূৰ্য্য ইন্দ্রিয়গ্রাহ, না সূর্যের আলােক ও উত্তাপ ইন্দ্রিয়গ্রাহ? অলমতিবিরেণ। আরও অনেক সংজ্ঞা আছে; কয়েকটি উল্লেখ করিলাম মাত্র ; কোনটিই নির্দোষ নহে; অতএব এখানে আর পুথি বাড়াইয়া কাজ নাই। কাজটা কিন্তু ভাল হইল না। পুথির আরম্ভে বলিয়াছিলাম, শব্দের অর্থ স্পষ্ট না বুঝিয়া তাহার তত্ত্ব-আলােচনায় প্রবৃত্ত হওয়া উচিত নহে। আমরা জড়ের তত্ত্ব-আলােচনায় প্রবৃত্ত হইলাম বটে, কিন্তু জড়ের একটা নির্দিষ্ট পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে পারিলাম না। চুল-চেরা পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে পারিলাম না বলিয়া এইখানে পুথি বন্ধ করিলে চলিবে না। কোন রকমে কাজ চালাইবার ব্যবস্থা করিতে হইবে। আপাতত অত্যন্ত মােটা হিসাবে কাজ চালাইবার ব্যবস্থা করিব। সূক্ষ্ম বিচারে প্রবৃত্ত হইয়া যেমন যেমন বিপত্তি ঠেকিবে, তেমনি তেমনি তাহা হইতে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা যাইবে। চুণ-পাথর, ইট-কাঠ, জলবায়ু, প্রভৃতি জিনিসকে আমরা জড় বলিয়া গ্রহণ করিব। আমার শরীরটা, অথবা যে অস্থি মজ্জা রক্ত মাংস প্রভৃতি মশলায় আমার এই ভঙ্গুর দেহ-যন্ত্ৰ নিৰ্মিত, তাহাকেও জড় বলিব। এই হইল জড়ের স্কুল দৃষ্টান্ত। এখন এই স্কুল দৃষ্টান্তেই কাজ চলিবে। এই মােটা দৃষ্টান্ত গ্রহণ করিয়া চলিলে আপাততঃ কোনও মােটা ভুলের আশঙ্কা থাকিবে না।