অগ্নি। তুমি ত কিছু চাইলে না?
বিদূ। আজ দেখ্ছি, তোমাব ভাবি বাড়াবাড়ি, হবি নিয়ে ছড়াছড়ি; তাই হচ্ছে ভয়, কৃষ্ণ দয়াময়, নাম কল্লেই হন উদয়,—কিন্তু যেখানে দেন পদাশ্রয়, সেখানে যে সর্ব্বনাশ হয়, এ কথা নিশ্চয়।
অগ্নি। দূর মূর্খ!
বিদূ। আর কাজ কি দেবতা, তোমার ভাব বুঝে নিয়েছি, তুমিও এবার সট্কাচ্ছ।
অগ্নি। আমি যা করি, তুই কেমন ক’রে বলি যে হরিনামে সর্ব্বনাশ হয়।
বিদূ। আমিই কি একলা জানি, তুমিই কি আর জান না? আমায় কি পেয়েছ ধান্কাণা, শুন্বে তোমার দয়াময় হরির গুণ-বর্ণনা?—পাথর চাপালেন মা-বাপের বুকে, তার পর বৃন্দাবনে ঝুঁকে—গোপ-গোপিনীর হাড়ির হাল, যশোদা মাগী নাকাল, অবোধ রাখাল কেঁদে সারা, নন্দ মিন্সে দিশেহারা; আর রাধা?—তাঁর কাঁদা সার, একশ বচ্ছর দেখ্লেন আঁধার, এদিকে দয়াময় হরি যমুনা-পার, কাণ দেন না কথায় কার, যেন কারুব কখনও ধাবেন না ধাব।
অগ্নি। আবে ছিঃ ছিঃ, তুই কৃষ্ণনিন্দা কচ্ছিস!
বিদূ। নিন্দে কেন, তোমার শ্রীহরির গুণ! যেখানে যান—জ্বালান আগুন; যদি পদার্পণ হলো মথুরায়, অম্নি সেখানে উঠলো হায় হায়! পরে কৃপাময় হ’লেন পাণ্ডবসখা—বেজায় পিরীত, রথের সারথি হলেন, এক গাড়ে বংশটা খেলেন! তাই ভাবছি, এমন সুখের মাহিষ্মতী পুবী, উদয় হ’য়ে হরি, না জানি কি কারখানাটাই কব্বেন। আমায় যদি বর দাও ত শোন, যদি সট্কাতে চাও ত সটকাও, স্বাহা দেবীকে সঙ্গে নাও; যদি হরিগুণ গাও,