পাতা:জনা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
১৩

সই, নহি আর প্রয়াসী তাঁহার;
কেন হৃদিপদ্মে উঠে হাহাকার,
যেন কঙ্কণ খসিয়ে পড়ে,
সিন্দুর মলিন যেন শিরে।
যাও, সখি, যাও—
দেখ কোথা প্রাণেশ্বর মম।
ওই শুন গুন্‌ গুন্ ধ্বনি,
যেন কে রমণী কাঁদে শোকাতুরা;
সেই স্বরে এক তাবে কাঁদে মম প্রাণ!
স্বজনি লো এনে দাও প্রাণেশ্বরে।
বসন্ত। ও লো তোর নিত্যি নূতন ঢং,
বালাই বালাই ছাই মুখে তোর একি আবার রং।
অমন কথা বলবি যদি আর,
চলে যাব তোর সোহাগের মুখে দিয়ে ক্ষার।
তোর মনের মুখে নুড়ো জ্বালি, মন নিয়ে তুই থাক;
আর কি খুঁজে পাও নি সোহাগ? এমন সোহাগ রাখ
মদনামঞ্জরী। সই!
শুন শুন এখন’ সে রোদনের ধ্বনি,
দূরে ক্ষীণস্বরে কাঁদে কে রমণী।
ওই শুন ওই শুন,
প্রাণ আর বুঝাইতে নাবি!
যাও ত্ববা ত্ববি,
দেখ কোথা প্রাণেশ্বর মম।
ওই শুন ওই শুন,
পুনঃ পুনঃ উঠে মৃদু বোল;