পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৫

| = ১৭শ বর্ষ । ধৰ্ম্মদাস । 伦 হইবে। আর সে ঔষধ বেচিয়া তুই ধৰ্ম’ রে হাইবি।” ধৰ্ম্মদাস বাবুজিজ্ঞাসা করিলেন, সে ঔষধটা কি ?” ভুবন পথে, টি হইতে একশিশি তৈল বাহির করিয়া * বলিল,-“এজ্ঞে এই তেল।” ধৰ্ম্মদাসবাবু বিশ্বাস করিলেন না ; বলিলেন, ‘হঁ্যা-হঁ্যা তুই টাকা দিতে পারিস, আমি তোর সম্পত্তি ফিরিয়া দিব।” ভুবন জিজ্ঞাসা করিল,-“কত টাকা ?” ধৰ্ম্মদাস বাবু বলিলেন- লাখ টাকা ।” মহা আনন্দে ভুবন চলিয়া গেল । ইহার দুই মাল পরে ভুবন ধৰ্ম্মদাস বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিল। সবিস্ময়ে {ৰ্ম্মদাস বাবু দেখিলেন, ভুবনের মস্তকের কেশ পূর্ববৎ হইয়াছে। হাতে কতকলি কাগজ, আহলাদের সহিত ভুবন দেখাইতেছে,-জাৰ্ম্মানি হইতে চিঠি আসিয়াছে, মেরিকা হইতে চিঠি আসিয়াছে, ফ্রান্স হইতে চিঠি আসিয়াছে, তেলের মসলা ।লয়া দিলে ভুবনকে কেহ দুই লাখ, কেহ তিন লাখ টাকা দিতে প্ৰস্তুত । ধৰ্ম্মদাস বাবু অবাক! জিজ্ঞাসা করিলেন,-“এত টাকা দিয়া তাহারা মসলা জানিতে চাহে কেন ?” ভূবন বলিল, “আরো মশায়, ক্রোর ক্রোর টাকা রোজগার করিবে। আমি কারুকে দিতাম না, আপনি বেচুবো মনে করিয়া ছিলুম, কিন্তু পৈত্রিক বাড়ীর আমার বড় লোভ । আমি শীঘ্ৰ যাহাতে মহাশয়কে টাকা দিয়া * আমার বাড়ী লাইতে পারি, সেই জন্য আমি, যে বেশী টাকা দিবে, তাকে তেলের মশলা বলিয়া দিব।” ধৰ্ম্মদাস বাবু আশীৰ্ব্বাদের ছলে ভুবনের মাথায় হাত দিয়া চুল টানিয়া দেখিলেন, পরচুলা নয়। বলিলেন, “চিঠিপত্রগুলো আমায় দিয়ে যা, আমি দেখিব, ছেলে মানুষ-না ঠকিস।” ভুবন চিঠিপত্র রাখিয়া চলিয়া গেল । তিন চারি দিন পরে আবার ধৰ্ম্মদাস বাবু টেলিগ্ৰাফ করিয়া জানিয়াছেন, এক খানি চিঠিও জাল নয়। ধৰ্ম্মদাস বাবুর বড়ই, লো” হইল। ভুবনের নিকট মসলা জানিতে পারিলে তিনিই তো রোজগার করিতে পারেন। ভুবনকে বলিলেন, “আর অন্তকে কেন বেচাবি, আমাকেই বােলে দে না !” ভুবন কুষ্ঠিত ফাংল। ধৰ্ম্ম “লু বলিলেন,-“শোন না-শোন না, আমি বাড়ী-তোর বিষয় সম্পত্তি 'I "শৈ" দিচ্চি।” ভুবন বলিল,-“মশায়, সে যে নাই। ধৰ্ম্ম । কেন-কেন- কি হয়েছে ? ভুবন । সে সবটুথাকৃষ্ণু মশায়, আপনি শুনে দুঃখিত হবেন। श्रुता । लृ-व्- कि वन् ? ভুবন । সন্ন্যাসী মানা করে দিয়েছে, যে, কদাচ ধর্মদাস বাবুকে বেচো না। আমি জিজ্ঞাসা কবুলুম-"কেন ? সে বলে কি জানেন মশায়,--আপনি এক