পাতা:জন্মস্থানাদি নির্ণয় - দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8 জন্মস্থানাদি নির্ণয় । নিযুক্ত ছিলেন। টঙ্কার গ্রাম তখন মোরবাপন্থ ওরফে ভাউ সাহেবের অধীনে ছিল।” এতদ্বারা বুঝা যায়, কর্শনজী ত্রিবারি টঙ্কারারই জমেন্দার ছিলেন। আরও বুঝা যায় যে, টঙ্কারা তখন মোরবাপন্থ নামক মরাঠির শাসনাধীনে ছিল। কিন্তু এ কথাটা ভুল। কারণ, ঠিক মোরব্যাপন্থের অধীনে ছিল না । মোরবাপন্থ গোপাল মেড়েল নারায়ণ ভাউর কর্তৃত্বাধনে একজন কৰ্ম্মচারী মাত্র ছিলেন । একটু অপ্রাসঙ্গিক হইলেও এ স্থলে একটি কথার উল্লেখ আবশ্যক। কাঠিবাড়ের রাজগণ এখন যেরূপ প্রচুর বিত্ত-সম্পত্তির অধিস্বামী হইয়া উঠিয়াছেন, পূর্বে সেরূপ ছিলেন না । এই হেতু গাইকোয়াড় সরকারকে কর বা খণ্ডনি, কিম্বা পুনার পেশোবাকে বা পোশোবার স্থানারূঢ় ইংরাজ সরকারকে পেস্যকশি দিবার সময়ে অনেক রাজাকেই তখন কার্জ গ্ৰহণ করিতে হইত। খণ্ডনি যথাসময়ে দিতে না পারিলে, গাইকোয়াড় সরকার-প্রেরিত মুলুকগিরি ফৌজ আসিয়া রাজ্যের ভিতরে নানা রকম অত্যাচার-উৎপীড়ন করিতে থাকিত । অত্যাচার সময়ে সময়ে নর-রুধির-স্রোতে রঞ্জিত হইয়া উঠিত। কাঠিবাড়ের প্রজাগণ এখনও মুলুকগিরি ফৌজের ভয়াবহ অত্যাচারকাহিনী বৰ্ণনা করিয়া থাকে। মভি রাজবংশ অর্থাভাব নিবন্ধন সময়ে সময়ে বিপন্ন হইয়া উঠিতেন । গাইকোয়াড়ের খণ্ডনি দিতে না পারিলে ঋণ-গ্ৰহণ করিতেন, এবং ঋণের দায়ে ঋণদাতার নিকটে টঙ্কার তালুক বন্ধক রাখিয়া দিতেন। যিনি বন্ধক রাখিতেন, তিনি টঙ্কার নিজের অধীনে রাখিয়া উহার রাজস্ব আদায় পূর্বক নিজের টাকা শোধ করিয়া লইতেন। এই হেতু টঙ্কার মাঝে মাঝে মর্ভির