পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদিও তাহারা উভয়েই ব্যক্তিবিশেষের উপর সমাজের যথেচ্ছাচার রূপ সমাজতান্ত্রিক মতের ভীষণ অঙ্গের সম্পূর্ণরূপে অননুমোদন করিতেন, তথাপি তাহারা মনে মনে আশা করিয়াছিলেন যে সমাজের এমন অবস্থা অসম্ভাবিত নহে, যখন ইহা অলস ও পরিশ্রমী এই দুই দলে বিভক্ত হুইবে না—অর্থাৎ সমাজে অলসশ্রেণীর সংখ্যা একেবারেই লোপ পাইবে ;–যখন—যাহারা পরিশ্রম করিবে না, তাহারা আহারও পাইবে না—এই সাধারণ নিয়ম শুদ্ধ দীনদুঃণীর উপরই প্রচারিত হইবে এরূপ নহে, ধনীদিগকেও এই নিয়মের অধীনে আসিতে হইবে ;—যখন শ্রমোপার্জিত ফলের বিভাগ জন্মের দৈবঘটনার উপর নির্ভর না করিয়া অপক্ষপাতী ন্যায়ের তুলাদণ্ডের দ্বারা নিষন্ত্রিত হইবে ; এবং যখন, যে সকল উপকার-পরম্পরা সাধারণ্যে ভোগ করিতে হইবে, তাহার জন্য প্রাণপণে যত্ন করা মানুষের পক্ষে অসাধ্যসাধন বলিয়া বিবেচিত হইবে না। কিরূপে জগতে ব্যক্তিগত কাৰ্য্যস্বাধীনতার পরাকাষ্ঠ প্রবর্তিত হইবে, এবং তৎসঙ্গে কিরূপে জগতের অযত্নলব্ধ দ্রব্যজাতের উপর সাধারণ অধিকার ও সাধারণ পরিশ্রমে উপার্জিত ফলে সকলের সমান অধিকার সংস্থাপিত হইতে পারিবে—র্তাহাদিগের উভয়েরই মতে এই গুরুতর বিষয়ত্রয়ের মীমাংসা করাই সমাজসংস্কারকদিগের এক মাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত । ঠিক কি কি উপায় অরলম্বন করিলে এই সকল গুরুতর বিষয় সংসাধিত হইতে পারে, আর কত দিন পরেই বা এই সকল মতের কার্য্যে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা, তাহা তাহারা নিশ্চিত রূপে বলিতে পারিতেন ন। তবে এই মাত্র স্পষ্ট বুঝিতেন যে অশিক্ষিত কৃষকশ্রেণী ও তাহtদিগের প্রভুদিগের চরিত্রে যতদিন না সম্পূর্ণ পরিবর্তন সংঘটিত হইতেছে, ততদিন এরূপ গুরুতর সমাজসংস্কারের কোন সম্ভাবনা নাই। এরূপ শুভঘটনা সংঘটিত হওয়ার পূৰ্ব্বে এই উভয় শ্রেণীর লোকদিগকেই অভ্যাস দ্বারা সাধারণের হিতার্থ পরিশ্রম ও সন্তু সমুখীন করিতে শিখিতে হইবে। সাধারণের হিতার্থে কাৰ্য্য করার প্রবৃত্তি মনুষ্যের প্রকৃতিবিরোধিনী নহে। যখন একজন অশিক্ষিত সামান্য সৈনিক