পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ০২ জন ষ্টয়াট মিলের জীবনবৃত্ত । হইত না ; সুতরাং সুশিক্ষিত সমাজ সেই সকল মতের শুভকরী শক্তি আর স্বীকার করিতেন না ; কিন্তু সেই সকল মতের এখনও এতদূর তেজস্বিতা ছিল যে তাহাদিগের পরিবর্তে নুতন ও উৎকৃষ্টতর মত পরিস্থাপিত করা বড় সহজ ব্যাপার নহে । যখন পৃথিবীর দার্শনিকদিগের ইহার প্রচলিত ধৰ্ম্মে বিশ্বাস বিলুপ্ত হয়, তখন এক প্রকার সামাজিক বিপ্লবকাল উপস্থিত হয় । এই কালে লোকের প্রতীতি ক্ষীণ, বুদ্ধিবৃত্তি কাৰ্য্যাক্ষম ও বিবেকশক্তি শিথিল হইয় পড়ে। যত দিন ন! আবার মানবমনে একটা নুতন (মানবই হউক বা ঐশ্বরিকই হউক) ধৰ্ম্মে বিশ্বাস সংস্থাপিত হয়, তত দিন এই অবস্থার শেষ হয় না । ততদিন এই নব পরিবর্তন ভিন্ন অন্য বিষয়ে যত কেন লেখ না, যত কেন ভাব না, তাহাতে মানবজাতির সাময়িক বই চিরস্থায়ী উপকারের সম্ভাবনা নাই। মানবমনের বাহ অবস্থায় এরূপ গুরুতর বিষয়ে সম্পূৰ্ণ ঔদাসীন্য দেখিয়া, মিল মানব জাতির ভাবী উন্নতি বিষয়ে কথঞ্চিৎ হতাশ হইয়া পড়িয়াছিলেন। কিন্তু আজ কাল স্বাধীন চিস্তার স্রোত কিঞ্চিৎ প্রবল হওয়াতে, ইংলণ্ডের ভাবী মানসিক উন্নতিবিষয়ে মিলের মনে কিঞ্চিৎ পরিমাণে আশার সঞ্চার হইল । حبس تع=جتناهمیتیج تحتسا* এই সময়ে মিলের পারিবারিক জীবনে কয়েকটী মহতী ঘটনা সংঘটিত হয়। তন্মধ্যে ১৮৫১ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বিধবা টেলরপত্নীর সহিত র্তাহার পরিণয় সৰ্ব্বপ্রধান। যাহার অতুল গুণরাশি তদীয় বন্ধুত্বকে মিলের অনন্ত সুখ ও অনন্ত উন্নতির অবিশেষ্য উৎস করিয়াছিল, সেই রমণীকুলভূষণ টেলরপত্নীর সহিত র্তাহার যে জীবনে কখন বৈবাহিক মিলন সংঘটিত হইবে, তিনি কখনই সেরূপ আশা করেন নাই । এই স্বৰ্গসুখভোগে তাহাদিগের ইচ্ছা ছিল না এরূপ নহে,-কিন্তু কি গুরুতর মূল্যে র্তাহারা সেই মুখত্ৰয় করিতে পারেন, তাহ তাহারা জানিতেন। তাহারা জানিতেন যে টেলরের অকালমৃত্যু ব্যতীত তাহাদিগের এ মনোরথ সিদ্ধির সস্তাবনা নাই । কিন্তু টেলরের প্রতি মিলের অকৃত্ৰিম ভক্তি ও তদীয় পত্নীর প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল । সুতরাং তাহার