পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| 0 অবতারাণক। } তিনটা প্রকাগু পরিবর্তন কাল উপলক্ষিত झ्य । প্রথমটা যৌবনের প্রারম্ভে, দ্বিতীয়ট নৌবনের অন্তে, তৃতীয়টা প্রৌঢ়াবস্থার অবসানে। শৈশব ও বাল্যেৰ চিন্তাশূন্য, লীলাপূর্ণ, সরল ও সমতল ক্ষেত্র হইতে মানব যখন মুঞ্জরিত, পল্পবিত, পণিত, ভারতরঙ্গায়িত, রমণীয় যৌবনকাননে প্রথম প্রবেশ করে, তখন তাহার অন্তরের লক্ষ্য ও আশা অসীম । তখন জীবন তাহার নিকট সুখের অনন্ত উৎস বলিয়া প্রতীত হয়। যে দিকে পাদবিক্ষেপ করে, সেই দিকেই পথ পুপবিকীরিত দেখে । কিন্তু যেমন অগ্রসর হইতে থাকে, দুই একটা কণ্টকে, দুই একটী কুশাগ্রে, চরণ ক্ষত হইতে আরম্ভ হয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে জীবনের লক্ষ্য ও হৃদয়ের আশাও ক্রমে সঙ্কচিত হইয়। আইসে। যৌবন প্রারস্তুে আশাপবন-সঞ্চালনে, হৃদয়সরোবরে যে স্বখহিল্লোল উখিত হয়, যৌবনান্তে আশাপবনের সঙ্কলচলনে সেই হিল্লোল ভীষণ তরঙ্গের আকার ধারণ করে। এই তরঙ্গতাড়নে সমস্ত প্রৌঢ়াবস্থা অতি অস্থির ভাব ধারণ করে। জীবনের কোন লক্ষ্য কি পরিমাণে হস্তগন্ধ হইবে, কোন আশা কি পরিমাণে চরিতার্থ হুইবে, তদ্বিষয়ে এক্ষণে ঘোরতর সংশয় ও অনিশ্চয় উপস্থিত হয় । কি ধৰ্ম্মনীতি কি রাজনীতি কি সমাজনীতি সকল বিষয়েই এই সময়ে ঘোরতর সন্দেহ আসিয়া জুটে । যত প্রৌঢ়াবস্থার পরিণতি হইতে থাকে, তত সেই সকল সংশয়, অনিশ্চয় ও সন্দেহের ভঞ্জন হইয়া প্রকৃতার্থে যাহা ফলিবে তদ্বিষয়ে একটী স্থির বিশ্বাস জন্মে। এই সময় যে বিশ্বাস জন্মে, তাহা জীৰনাস্ত পর্য্যন্ত প্রায় স্থির ভাবে রহিয়া যায় । রোগ শোক, দারিদ্র্য জরা, বাধা বিপত্তি—কিছুতেই এ বিশ্বাস বিচলিত হয় না। অামাদিগের দেশে ষোড়শ বৎসরে যৌবনের আরম্ভ ও ত্রিংশ বৎসরে যৌবনের অবসান ও প্রৌঢ়াবস্থার আরম্ভ এবং পঞ্চচত্বারিংশত বৎসরে প্রৌঢ়াবস্থার অবসান ও বাদ্ধক্যের আরম্ভ হয়। শীত-প্রধান দেশে সাধারণতঃ পাঁচ বৎসর বিলম্বে উক্ত অবস্থাত্রয়ের আরম্ভ ও অবসান হয়। যৌবন প্রারম্ভে গম্ভীর ও ভাবপ্রবণ প্রকৃতির লোকের অস্তরে সচরাচর যে সকল মুখ-তরঙ্গ