পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৩০

প। রচয় । P & Go: কি ভাষা পৰ্য্যন্ত ৪ অনেক সময় উtহারই। অর্থের উৎপাদন ও বিতরণে যে কি প্রভেদ তাহ পূৰ্ব্বে কোন অর্থনীতিজ্ঞই নির্দেশ করিতে পারেন নাই। যে সকল নিয়ম দ্বারা অর্থের উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ন্ত্রিত হয়, র্তাহাদিগের মতে সে সমস্তই প্রাকৃতিক ; মানবী ইচ্ছ। তাহাদিগকে নিয়মিত বা পরিবর্তিত করিতে পারে না । তদীয় পত্নীই সৰ্ব্বপ্রথমে এই নূতন মত আবিষ্কৃত করেন যে, যে সকল নিয়ম দ্বারা অর্থের উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত হয় তাহ প্রাকৃতিক বটে ; কিন্তু যে সকল নিয়ম দ্বারা অর্থের বিতরণ নিয়ন্ত্রিত হয়, সে সকল প্রায়ই মানবী ইচ্ছার অধীন । এই শেষোক্ত নিয়ম গুলি মানবী ইচ্ছা ও সমাজের আবশ্যকতানুসারে নিয়মিত ও পরিবর্তিত হইতে পারে। এই ভাবগুলি মিল সৰ্ব্ব প্রথমে সেণ্ট সাইমোনিয়োদিগের নিকট হইতেই প্রাপ্ত হন ; কিন্তু তাহার পত্নীর উত্তেজনাতেই ইহ। তাহার মনে সজীবতা ধারণ করে। সংক্ষেপতঃ তাহার পুস্তকের যে অংশের সহিত বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ও অন্বিক্ষীকীর সম্বন্ধ, সেই টুকুই তাছার নিজের, ও অবশিষ্ট সমস্তই তদীয় পত্নীর । এই সকল কারণে মিলের ইচ্ছা ছিল যে পুস্তকখানি তদীয় পত্নীর নামে উৎসর্গীকৃত করেন। কিন্তু তাহার পত্নী এরূপ ইচ্ছা করিতেন না যে তাহার বিষয় লইয়া বিশেষ আন্দোলন উপস্থিত হয় ; এই জন্য তিনি বন্ধুবান্ধবদিগকে দিবার নিমিত্ত কয়েক খণ্ড বাদে অন্য পুস্তকগুলি আপনার নামে উৎসর্গীকৃত করিতে দেন নাই । মিলের বৈবাহিক জীবনের শেষ ভাগে দুইটা প্রধান ঘটনা সংঘটিত হয়—একটী তাহার পীড়াবিষয়ক অপরট ইণ্ডিয়া হাউসে তাহার কৰ্ম্ম বিষয়ক । " প্রথমতঃ তিনি এই সময়ে একবার পিত্রাগত পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া স্বাস্থ্যলাভ করিবার জন্য প্রায় ছয় মাস কাল ইতালী, সিসিলী এবং গ্রীস প্রভৃতি নানাদেশ পরিভ্রমণ করিয়া আসেন । দ্বিতীয়তঃ তিনি ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে ইণ্ডিয়া হাউসের করেসপণ্ডেন্স, বিভাগের সৰ্ব্বোচ্চ পদে অভিষিক্ত হন। এই বিভাগে তিনি অনুন ত্রয়ত্রিংশ বৎসর কৰ্ম্ম করেন । তিনি এক্ষণে যে পদে অভিষিক্ত হই