পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইবে তাহা তিনি তাহারই নিকট শিখিয়াছিলেন। “ স্ত্রীজাতি পুরুষজাতির ন্যায় সম্পূর্ণ বৈধিক স্বাধীনতার অধিকারিণী; পুরুষজাতির ন্যায় স্ত্রীজাতির স্বত্ব ও স্বার্থ সম্পূর্ণ রক্ষণীয় ; যে সকল বিধি পরম্পরা দ্বার সমাজ ও রাজ্য শাসিত হইয়া থাকে তাহার গঠনকার্য্যে পুরুষজাতির ন্যায় স্ত্রীজাতির ও সমান অধিকার ” এ সকল মন্ত তিনি তদীয় পত্নীর নিকট হইতে শিক্ষা করেন নাই বটে ; কিন্তু স্ত্রীজাতির স্বত্ব ও স্বার্থ সংরক্ষিত না হওয়ায় এবং পূৰ্ব্বোক্ত বিধিপরম্পরার গঠনবিষয়ে স্ত্রীজাতির অধিকার না থাকায়, সমাজের ষে সকল অনিষ্ট সংঘটিত হইতেছে, মানবজাতির উন্নতিমার্গে যে সকল কণ্টক রোপিত হইতেছে, এবং কি কি উপায়েই বা সেই সকল অনিষ্টপাতের নিবারণ হইতে পারে, সে সমস্ত তিনি তদীয় পত্নীর নিকটই শিক্ষা করিয়াছিলেন। মিলের এরূপ বিশ্বাস ছিল যে—তদীয় পত্নীর এতদ্বিষয়ক সমস্ত চিন্তা তিনি এই গ্রন্থে উদ্ভাসিত করিতে পারেন নাই ; এবং এই গ্রন্থ তদীয় পত্নী দ্বারা সংরচিত হইলে ইহা অপেক্ষা ও উৎকৃষ্টতর হইত। “ লিবাটির ” মুদ্রাঙ্কনের কিছুদিন পরেই মিল “থটস অনু পালিয়ামেণ্টারী রিফরম’ নামক একখানি রাজনীতি বিষয়ক পুস্তিক প্রকাশ করেন । পুস্তিকার কিয়দংশ তদীয় পত্নীর দ্বারা অনুমোদিত ও সংশোধিত হইয়াছিল। মিল, ও তদীয় পত্নী—ইহঁরা দুই জনেই পূৰ্ব্বে “ব্যালটু” ও প্রণালীর স্বপক্ষ ছিলেন ; কিন্তু পর্তুবিয়োগের কিছুদিন পূৰ্ব্বে মিলের ও তদীয় পত্নীর এই বিষয়ে মত-পরিবর্তন হয় । মত পরি বর্তন বিষয়ে মিলের পত্নী বরং তাহার অগ্ৰগামিনী হন। এই পুস্তিকাম “ব্যালট প্রণালীর বিরুদ্ধে উহাদিগের যে সকল যুক্তি ছিল সেই সকল যুক্তি মাত্রই সন্নিবেশিত হইয়াছে। ইহাতে মিলের আরও একটা নুতন মত সন্নিবেশিত হইয়াছিল। র্তাহার মতে ভোটের অসমত অবশ্য রক্ষণীয় ; কিন্তু উহার মতে ইহা পুর্বের ন্যায় সম্পত্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

  • বিভিন্ন বর্ণের দুইটী গুটিকার অন্যতর দ্বারা মত বা অমত প্রকাশ করাকে ব্যালট প্রণালী কহে।