পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনৈতিক রচনা הלל প্রশ্নসকলের কি বা মীমাংসা হইতে পারে, তাহাও ভাবিবার তাহার সময় নাই। মিল এরূপ অবস্থার শোচনীয় পরিণাম জানিতেন, এই জন্যই তিনি সামাজিকতা ও লৌকিকতা লইয়া ব্যস্ত থাকিতেন না। নগরের অনতিদূৱস্থিত ক্ষুদ্র কুটীরে অবস্থিত হইয়াও সম্বাদপত্র ও সাময়িক পত্রাদির দ্বারা তিনি জগতের সমস্ত ঘটনা জানিতে পারিতেন ; বর্তমান ঘটনাবলীর স্রোত কোন দিকে প্রধাবিত হইবে, বর্তমান অমীমাংসিত প্রশ্ন সকলেরই বা কি মীমাংসা হইতে পারে, তাহ তিনি সেই ক্ষুদ্র কুটীরে বসির ভাবিতেন ; এবং মধ্যে মধ্যে সেই সকল বিষয়ে নব নব প্রবন্ধ লিখিয়া জগতে নুতন আলোক বিস্তার করিতেন। শিল্পবাণিজ্যগত দ্রব্যজাত ও মানবস্রোত প্রভৃতি স্বচক্ষে দেখিয়া জ্ঞানভাণ্ডার অধিকতর পরিবর্দ্ধিত করিবার জন্য তিনি মধ্যে মধ্যে নগরে আসিতেন । এই নিৰ্জ্জুন প্রদেশের এই ক্ষুদ্র কুটীরের একমাত্র আলোক—তদীয় পত্নীর গর্ভজাত দুহিতা—মিলের আত্মোৎকর্ষ সাধনের সাহায্যব্রতে ব্ৰতী ছিলেন । মিলের শারীরিক ও আধ্যাত্মিক শুশুষ ব্যতীত তাহার জীবনের অন্য কোন কাৰ্য্য ছিল না। জীবননাট্যশালার এরূপ বিচ্ছেদের পর এরূপ সঙ্গিনী প্রাপ্ত হওয়া অতি অলপ পুরুষের ভাগ্যে ঘটিয় উঠে। এখন হইতে র্যাহারা মিলের নামে প্রকাশিত পুস্তক সকল পাঠ করিবেন, তাহাদিগের মনে যেন ইহা উদিত হয়, যে সেই পুস্তক গুলি দুইজন অদ্ভুত রমণী ও একজন অদ্ভূত পুরুষের মস্তিষ্কের ফল। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে মিল “ কন্‌সিডারেসন্স অন রেপ্রেজেনটেটিব গবর্ণমেণ্ট ’ নামক পুস্তক প্রকাশিত করেন। দীর্ঘকালব্যাপিনী চিন্তার পর প্রতিনিধি শাসনপ্রণালী বিষয়ে তিনি যে সকল সিদ্ধাম্ভে উপনীত, হইয়াছিলেন, এই পুস্তকে সেই সকলই বিশেষরূপে বিবুত হইয়াছে। র্তাহার মতে বহুজনাকীর্ণ প্রতিনিধি সভা বিধিব্যবস্থাপন কার্য্যের সম্পূর্ণ অযোগ্য । এরূপ সভার প্রকৃত কাৰ্য্য—নির্দিষ্ট কতিপয় সুযোগ্য রাজনীতিজ্ঞ দ্বারা যে সকল বিধি ব্যবস্থাপিত হইবে—সেই সকল বিধির