পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ জন ষ্টুয়াট মিলের জীবনবৃত্ত । অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান মাত্র-বিধির ব্যবস্থাপন নহে। এই জন্য তাহার মতে প্রতিনিধি সভা দ্বারা বিধির ব্যবস্থাপন নিমিত্ত একটা ব্যবস্থাপক সমাজ মনোনীত হওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য। প্রতিনিধি সভা যখন দেখিবেন যে কোন নূতন বিধির ব্যবস্থাপন আবশ্যক হইয়া উঠিয়াছে, তখন র্তাহারা এই গুরুতর কার্য্যের ভার ব্যবস্থাপক সমাজের উপর অর্পণ করিবেন । ব্যবস্থাপক সমাজ বিধির ব্যবস্থান করিলে প্রতিনিধি সভা ইচ্ছামত তাহা মঞ্জর বা নামঞ্জুর করিতে পারবেন। কিন্তু তাহার কোন পরিবর্তন করিতে হইলে প্রতিনিধি সভা স্বয়ং করিতে পারিবেন না। ব্যবস্থাপক সমাজের উপরই সেই সকল পরিবর্তনের ভার অর্পণ করিতে হইবে। বিধির ব্যবস্থাপনরুপ এই গুরুতর প্রশ্নের । এরূপ পূর্ণ মীমাংসা বেস্থামের পূৰ্ব্বে আর কেহই করিতে পারেন নাই । বেস্থামূশিষ্য মিল, গুরুস্কুঞ্জ এই নুতন পথের পরিষ্করণ ও বিস্তৃতিসাধন দ্বারা যে জগতের অসীম উপকার সংসাধিত করিয়াছেন তাহাতে আর সন্দেহ নাই। সাধারণ কার্য্যে সাধারণী সভার সম্পূর্ণ অধি. কারের সহিত কতিপয় সুদক্ষ রাজনীতিজ্ঞ দ্বারা বিধিব্যবস্থাপনকার্যের সামঞ্জস্য বিধানের প্রস্তাব পূৰ্ব্বে আর কেহই করেন নাই। মিলের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে এই প্রস্তাব অবশ্যই এক দিন কার্ঘ্যে পরিণত হইবে । ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে মিল যে পুস্তক প্রণয়ন করেন, তাহার নাম “ দি সব জেক্সন অব উইমেন” বা স্ত্রীজাতির অধীনতা বিষয়ক প্রবন্ধ । ইহার বিষয় আমরা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি। এই গ্রন্থখানি ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। এতদিন অপ্রকাশিত রাখার কারণ এই যে মিলের ইচ্ছা ছিল যে তিনি অবসরমত মধ্যে মধ্যে ইহার পরিপুষ্টি সাধন ও উৎকর্ষ বিধান করিবেন এবং এই মতের কৃতকাৰ্য্যতা লাভের সময়েই ইহার প্রচার করিবেন । মিলের এই ইচ্ছা কথঞ্চিৎ ফলবতী হইয়াছিল। ইহার অব্যবহিত পরেই তিনি আর এক খানি গ্রন্থ মুদ্রিত ও প্রকাশিভ করেন । এই গ্রন্থখানির নাম “ ইউটিলিটেরিয়ানিজম, ”