পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ জন ষ্টয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত । আবির্ভাব হয়। এই সমালোচনা উপলক্ষে তিনি সেই সকল নুতন ভাব সাধারণ সমক্ষে প্রদান করেন । - - কিন্তু এই দুই বৎসরের তাহার প্রধান রচনা-সার উইলিয়মহ্যামিণ্টন প্রণীত দর্শনের পূর্ণ সমালোচনা । ১৮৬• এবং ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে হ্যামিণ্টনের দর্শন প্রচারিত হয়। মিল শেষোক্ত বৎসরের শেষ ভাগে উক্ত গ্রন্থ পাঠ করেন । র্তাহার প্রথমে ইচ্ছা ছিল, উক্ত গ্রন্থের একটা সংক্ষিপ্ত সমালোচনা মাত্র করিবেন । কিন্তু পরে দেখিলেন , স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে ইহার একটা সুদীর্ঘ সমালোচনা না করিলে আর-এই পুস্তকের প্রতি যথোচিত ব্যবহার করা হইবে না । তাহার প্রথমে সংশয় উপস্থিত হইল যে এ কার্য্যে তাহার নিজের হস্তক্ষেপ করা উচিত কিনা। কিন্তু অনেক বিবেচনার পর তাহার এই সংশয় আপনীত হইল। তিনি স্বয়ংই এই কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন । হ্যামিণ্টনের দর্শন পাঠে মিল নিতান্ত হতাশ হন। হ্যামিণ্টনের সহিত র্তাহার কোন মনোমালিন্য ছিল না ; সুতরাং তিনি যে বিদ্বেষবিশিষ্ট হইয়৷ তদীয় গ্রন্থের সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তাহ বোধ হয়না । বরং তত্ত্বস্তাবিত মানব জ্ঞানের “রিলেটিভিটি” অর্থাৎ সাপেক্ষতা মতের জন্য হ্যামিণ্টনের সহিত র্তাহার সহানুভূতিই ছিল। কিন্তু হ্যামিণ্টনের দর্শনশাস্ত্র বিষয়ক উপদেশাবলী ও তৎপ্রণীত রীডের সমালোচনা পাঠ করায় মিলের সেই সহানুভুতি অনেক পরিমাণে শিথিলিত হইল। মিলের পূৰ্ব্বে বিশ্বাস ছিল যে দর্শনশাস্ত্রবিষয়ে হ্যামিন্টনের মতের সহিত তাহার মতের গোঁসাদৃশ্য আছে। কিন্তু এক্ষণে দেখিলেন যে সে বিশ্বাস নিতান্ত ভ্রান্ত । এই সময় ইউরোপ দুই দার্শনিক সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। এক সম্প্রদায় সহজ জ্ঞানের পক্ষপাতী ; অপর সম্প্রদায় ভূয়োদর্শন ও সংযোগজন জ্ঞানের পক্ষপাতী | প্রথম সম্প্রদায়ের লোকের র্তাহাদিগের হৃদয়ের প্রিয় মত গুলিকে যুক্তি-নিরপেক্ষ স্বভাবজ সত্য (Intuitive truth) বলিয়া নির্দেশ করিতেন ; তাহাদিগের কর্তব্য-জ্ঞান যাহা ভাল বলিত, তাহাই উহার প্রকৃতি ও ঈশ্বরের অনুমোদিত বলিয়া মনে করিতেন,