পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেরূপ, জাতি ও মানবসাধারণ সম্বন্ধেও প্রায় তদ্রুপ । মানব জাতির শৈশবাবস্থায় যে ভূয়োদর্শন ছিল, সাধারণতঃ এখনকার ভূয়োদর্শন তাহ অপেক্ষা অধিকতর পরিপুষ্ট ও উৎকর্ষ-প্রাপ্ত। সেই ভূয়োদর্শনের উৎ কর্ষ ও পরিপুষ্টির সহিত,মুনিবজ্ঞান ও মানব মতেরও উৎকর্ষ ও পরিপুষ্টি সাধন করা উচিত । এতদিন যাহা ভাল বলিয়া চলিয়া আসিতেছে, তাহাই ভাল ; সুতরাং তাহাই অনুসরণীয় ”—এ সম্প্রদায়ের লোকেরা এ মতের নিতান্তু বিরোধী। ইহঁদের মতে কল্য যাহা ভাল বলিয়া চলিয়া আসিয়াছে, অদ্যfর ভূয়োদর্শনে হয়ত তাহ মন্দ বলিয়া প্র তীত হইতে পারে। সেইরূপ কল্য যাহা মন্দ বলিয়া প্রতীত হইয়াছিল, আদ্যকার ভূয়োদর্শনে হয়ত তাহ ভাল বলিয়া প্রতীত হইতে পারে। সুতরাং এরূপ স্থলে কল্যকার ভূয়োদর্শনের বশীভূত হইয়া আমরা অদ্যকার অধিকতর উৎকর্ষপ্রাপ্ত ও পরিপুষ্ট ভূয়োদর্শনের অবমাননা করিতে পারি না। অদ্যকার ভূয়োদর্শনের সম্মাননা করিতে গেলেই—কি ধৰ্ম্মনীতি, কি রাজনীতি, কি সমাজনীতি সকল বিষয়েই নিত্য সংস্কার ও নিত্য পরিবর্তনের প্রয়োজন। সেই জন্যই এই সম্প্রদায়ের লোকেরা এত সংস্কারপ্রিয়। মিল, তদীয় পিতা এবং অধ্যাপক বেইন প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতবর্গ এই সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত । সার উইলিয়ম, হ্যামিণ্টন ও জাৰ্ম্মান দার্শনিকের প্রথম সম্প্রদায়ের অন্তভুক্ত। সার উইলিয়ম হ্যামিণ্টনের সাপেক্ষ জ্ঞান প্রচারিত হইলে, মিল ভাবিয়াছিলেন যে হ্যামিণ্টন এই দুই সম্প্রদাদের সংযোজক শৃঙ্খল স্বরূপ হইবেন । কিন্তু তৎপ্রদত্ত দার্শনিক উপদেশাবলী ও তৎকৃত রডের সমালোচনা পাঠ করিয়া মিলের সে আশা দূরীকৃত इहेन । . - দার্শনিক জগতে সার উইলিয়ম, হ্যামিন্টনের যেরূপ প্রতিপত্তি, র্তাহার রচনার যেরূপ মোহিনী শক্তি, তাহাতে মিল্ দেখিলেন যে তৎপ্রণীত দর্শনশাস্ত্র অনাক্রান্ত থাকিলে, জগতের উন্নতি-স্রোত অনেকদিনের জন্য রুদ্ধপ্রসর হইবে। তদীয় দর্শন “ স্বভাবজ্ঞান • মতের