পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iাত/ ট করেন। কিন্তু অবিশ্রান্ত সত্যের অনুসন্ধানে ও অক্লাস্ত মানবহিত । সাধনে ইহলোকেই যে অনিৰ্ব্বচনীয় স্বৰ্গীয় সুখ ভোগ করা যাইতে । পারে, তাহ তাহারা কিরূপে অনুভব করিতে পরিবেন ? যদি পারিতেন তাহা হইলে প্লেতে, কমত, মিল , বেনথাম , টর্গট প্রভৃতি মনীষিগণ মানব উন্নতির যে আদর্শ সীমা নির্দেশ করিয়া দিয়াছেন, মানবসাধারণ ; এতদিন সেই সীমায় উপনীত হইত। ঈশ্বর-প্রেমের অনুরোধ বা ঐহিক । কি পারমার্থিক পুরস্কারের আশা— মানব সাধারণের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের ; প্রণোদক হইবে না ; এবং নিরভিসন্ধি ধৰ্ম্মেই মানব মাত্র ইহলোকেই বিমল স্বৰ্গীয় সুখ অনুভব করিবে—এরূপ সামাজিক অবস্থা যদি সকলেরই অনুভূতিপ্রসরে উপস্থিত হইত, তাহা হইলে কম ত মিল, প্রভৃতি মনীষিগণের জগতে আবির্ভাব প্রয়োজনীয় হইত না। মিল তদীর আদর্শসমাজ বিষয়ে যেরূপ অবিচলিত বিশ্বাস, গীর আগ্রহ ও জীবন্ত উৎসাহ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে তিনি স্থলদশী "মলুদার লোকের সবিশেষ উপহাসের পত্র হইয়াছেন সন্দেহ নাই । কিন্তু র্যাহার। পরলোক স্বষ্টি ও কল্পিত অনন্ত বিমল স্বগীয় সুখের ধার৭াকে হৃদ্ধত্তির পরিণতির পরাকাষ্ঠী বলিয়া গণনা করেন, আমরা বুঝিতে পারি না কেন তাহারা মিলের আদর্শসমাজ-কল্পনাকে চিত্তবৃত্তির চরম উৎকর্ষ বলিয়া স্বীকার না করিবেন ? যদি অসীম দুল্ল ক্ষ্য শূন্যের উপর প্রকাণ্ড স্বৰ্গস্থষ্টি সম্ভবপর হয়, তাহা হইলে অনন্ত কালস্রোতে অসংখ্য পুরুষ-পরম্পরার অক্লান্ত যত্নে এই প্রত্যক্ষপরিদৃশ্যমান পৃথিবীর উপরেই যে একটী রমণীয় স্বৰ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠাপিত হইবে তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি? ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ী লোকে মিলের জীবনকে অতি শুষ্ক ও নীরস বলিয়া মনে করিয়া থাকেন । র্তাহারা বলেন যে যাহারা জগৎকে নিরবচ্ছিন্ন শোকদুঃখ-ভ্রান্তিপূর্ণ বলিয়া মনে করেন, তাহাদিগের জীবন অন্ধকার ময়। কিন্তু আমরা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি যে এই জগৎ শোক, দুঃখ ভ্রান্তিসঙ্কল কিনা? যদি হয় তবে কোন মানবুপ্রেমিক ব্যক্তির হৃদয় ইহাতে উদাসীন ও অবিচলিত থাকিতে পারে? কোন কালে