পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sss জন্ম ষ্টয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত । মিল জানিতেন যে ভূম্যধিকারীরা এরূপ নির্দিষ্ট নিয়মেও তাহাদিগের ভূমিসম্পত্তি রক্ষা করিবেন, তথাপি গবর্ণমেন্টের মশোহারাভোগী হইবেন না। কিন্তু লোকে মিলের প্রস্তাবের মৰ্ম্ম বুৰিয়াও বুঝিলেন না। তাহার মিলের প্রস্তাবের মৰ্ম্ম বিভিন্ন অর্থে গ্রহণ ও প্রচার করিলেন। তাহার এরূপ রটনা করিলেন যে মিল, গবর্ণমেণ্টকে আয়লণ্ডের সমস্ত সম্পত্তি ক্রয় করিয়া লইয়া একমাত্র ভূম্যধিকারী হইতে উপদেশ দিতেছেন। মিল মিষ্টার মাগায়ারের প্রস্তাব ও মিষ্টার ফর্টেম্বর বিল উপলক্ষে পূৰ্ব্বোক্ত ভ্রম সংশোধনার্থ দুইটা বক্তৃত করেন। এই বক্তৃতাস্বয় মিলের অনুমতিক্রমে আমল ওে প্রকাশিত হয় । এই সময় আর একটা গুরুতর কর্তৃব্যভার মিলের भख्त्क नाच्च হয়। এই সময় জামেকার ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে অভূখান হয়। এই অভু্যখান ইংলণ্ডের অবিচার দ্বারা প্রথমে উত্তেজিত হইয়া অবশেষে ভরে ও ক্রোধে বিদ্রোহে পরিণত হয় । এই স্বত্রে জামেকার অসংখ্য নির্দোৰী লোকের জীবন কোর্টস মাসেলের আদেশে নৃশংস সৈনিক পুরুষ দ্বারা নির্দয়রপে হত হয় । বিদ্রোহ নিবারিত হইলেও অনেক দিন পর্য্যস্ত এই কোর্টস মার্সেল উপবিষ্ট থাকে। অসি নিস্কো শিত ও বন্দুকাদি নিৰ্ম্ম ক্রমুখ হইলে যে সকল ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খল কাও *সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা এ ক্ষেত্রে সে সমস্তই ঘটিয়াছিল। লোকের প্রাণ, মান কিছুই নিরাপদ ছিল না । যে ব্যক্তি সম্পত্তিবিহীন অথচ সন্দেহ-পাত্র, সে শাণিত অসির খরধারায় বা বন্দুকমুখে পতিত হইল । বালবনিতা বেত্ৰীহত হইল। অত্যাচারের আর সীমা পরিসীমানরহিল না। ইংলণ্ডের যে সকল লোক এতদিন নিগ্ৰে দাসত্বের সমর্থন করিয়া আসিতেছিল, তাহারাই এই ঘাতুকদিগের নৃশংস কৰ্ম্মকাণ্ডের পক্ষ সমর্থন করিতে লাগিল। মিল দেখিলেন যে এরূপ ঘটনা বিনা দণ্ডে যাইতে দিলে ইংলণ্ডের বিপুল যশে একটা গভীর কলঙ্করেখ পত্তিত হইবে । এই জন্য তিনি পালিয়ামেন্টের অভ্যন্তরে ও বাহিরে এই বিষয়ে ঘোরতর আন্দোলন উত্থাপিত করিলেন। এই আন্দোলন উত্থাপিত করার পর কোন কাৰ্য্যবশতঃ তাহাকে স্থানান্তরে যাইতে হয়,